বাড়তি নিরাপত্তায় বাসার পথে খালেদা

Slider রাজনীতি

 

2015_11_05_14_12_23_DDBicymjOESuBOrKt5MINA6O82OvDb_original

 

 

 

 

ঢাকা: দুই মাসের বেশি সময়ের সফর শেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

শনিবার বিকেল ৫টা ১৩ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপর ৫টা ৩৫ মিনিটে পুলিশ প্রটোকলে গুলশানের বাসভবনে রওনা দেন খালেদা।

এজন্য বিমান বন্দর এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। যাত্রী ছাড়া সবাইকেই মূল সড়কেই আটকে দেয়া হয়।

সাংবাদিকদেরও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে বহু নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ তাদের মূল সড়কেই আটকে দেয়। মওদুদ আহমেদ এবং আব্দুল্লাহ আল নোমানের মতো সিনিয়র নেতাদেরকেও বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। এরপর নেতাকর্মীরা রাস্তার দুপাশে অবস্থান নিয়ে নেত্রীরে আগমনের অপেক্ষা করেন।

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণেই এ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

এর আগে, দেশে ফেরার পর খালেদার নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের কাছে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল তার দল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা নিয়ে দল উদ্বিগ্ন।’ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে চিঠিও দেয়া হয়েছিল।

এ ব্যাপারে সিলেটে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাড়তি নিরাপত্তা চাইলে তা বিবেচনা করা হবে। খালেদা জিয়া দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘তিনি যে নিরাপত্তা ডিজার্ভ করেন এর বাইরে তিনি থাকবেন না। বেগম জিয়া বাড়তি নিরাপত্তা চাইলে সেটা সরকার বিবেচনা করবে।’

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যান খালেদা। এরপর তিনি কবে ফিরবেন তা নিয়ে একরকম বিভ্রান্তি দেখা দেয়। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চিকিৎসা শেষ না করেই দেশে ফিরছেন বেগম জিয়া।

বেগম জিয়া লন্ডনে থাকা অবস্থায় ঢাকায় ও রংপুরে গুলি করে হত্যা করা হয় দুই বিদেশিকে। দিনাজপুরে আহত করা হয় একজনকে। তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিতে গ্রেনেড হামলাও চালানো হয়েছে। হয়েছে পুলিশের উপর হামলার ঘটনাও। এসব ঘটনায় জঙ্গিযোগের খবরও এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। সরকার অবশ্য এ ঘটনাগুলোকে যুদ্ধাপরাধীদের রায় বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে এবং এরজন্য বিএনপিকেও দায়ী করা হচ্ছে। দেশে আইএসের মতো কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই বলেও দাবি সরকারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *