শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান ফটকেই কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিদেশগামী যাত্রী ছাড়া কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রধান ফটক পার হতে দেওয়া হচ্ছে না খালেদাকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকেও।
দীর্ঘ দুই মাস পাঁচ দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা খালেদার। তার আগে বিকেল ৪টার দিকে বিমানবন্দরের প্রধান ফটকে দেখা যায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কড়া অবস্থানে রয়েছেন। তারা যাত্রী ছাড়া কাউকেই বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। ব্যক্তিগত বা ভাড়া গাড়ি নিয়ে আসা যাত্রীদের প্রধান ফটকেই থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে তাদের পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে বিমানবন্দরের ভেতরে। এমনকি সাংবাদিকদেরও প্রধান ফটক পার হতে দিচ্ছেন না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এজন্য প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে আছেন খালেদাকে স্বাগত জানাতে আসা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকারসহ কয়েকজন নেতা।
এখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নোমান। তিনি অভিযোগ করেন, যেহেতু এ সরকারের কোনো জনভিত্তি নেই। সেহেতু এরা লোক দেখলেই ভয় পায়। সে কারণে মামলা-হামলার পরও হাজার হাজার নেতাকর্মী এখানে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ভীতু এ সরকার কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না।
এ ঘটনাকে বেআইনি উল্লেখ করে নোমান বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বাভাবিক চলাফেরার অধিকারটুকুও আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার বেআইনিভাবে আমাদের আটকে দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এদিকে, বিমানবন্দরে ঢুকতে না পারা বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মীকে বলাকা অফিসের সম্মুখ থেকে এয়ারপোর্টের প্রধান ফটক পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার দু’পাশে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত সফরে লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। দু’চোখ ও হাঁটুর চিকিৎসার জন্য তিনি এ সফরে যান। লন্ডনে অবস্থানকালে খালেদা জিয়া তার ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসার পাশের একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে অবস্থান করেন। দীর্ঘ এ সফরে তিনি স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান এবং একটি নাগরিক সভায় যোগ দেন।