রাষ্ট্রপতির কাছে একটি আইনি বিষয়ে আবেদন করবেন আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া এই জামায়াত নেতার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করলে তাঁদের কাছে এ কথা জানান মুজাহিদ।
মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করে বের হওয়ার পর ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ মিনিট আমাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি মৌখিকভাবে রায় শুনলেও লিখিত কপি এখনো পাননি। লিখিত কপি হাতে পাওয়ার পর আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করবেন এবং আইনি একটি বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করবেন।
তবে আবেদনটি প্রাণভিক্ষার কি না, তা বলেননি মাবরুর। জামায়াত নেতা মুজাহিদ প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না—জানতে চাইলে মাবরুর বলেন, রিভিউ রায়ের কপি পাওয়ার পর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে রাষ্ট্রপতি নিজেও যেহেতু একজন আইনজ্ঞ, তাই রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি আইনি বিষয়ে আবেদন করবেন।
মুজাহিদের ছেলে বলেন, তিনি সুস্থ ও সবল আছেন, মানসিকভাবে দৃঢ় আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও তাঁকে যদি ফাঁসি দেওয়া হয়, তা হবে রাজনৈতিক হত্যা।
মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করেছেন ১২ জন। তাঁরা হলেন—মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান; মেয়ে তামজিনা বিনতে মুজাহিদ; তিন ছেলে আলী আহমেদ তাজদীদ, আলী আহমেদ মাবরুর ও আলী আহমেদ তাহহীক; তিন ছেলের বউ সৈয়দা রোফাইদা সাবি, নাসরিন আক্তার ও ফারজানা জেরিন; মুজাহিদের দুই ভাই আলী আফজাল মোহাম্মদ খালেদ ও এ কে আকরাম; দুই নাতি আ ন ম ফজলুল হাদী ও নূরুল হুদা মাহমুদ।
এর আগে আজই বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে কারাগারে দেখা করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল বুধবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, শিগগিরই রিভিউ খারিজ হওয়ার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করবেন আদালত।