স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন,নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অ্যাপ্লিকেশনগুলো (অ্যাপস) সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া মেনে শিগগিরই জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে ।
মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদেরের মৃত্যুদণ্ড কবে নাগাদ কার্যকর করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পেলে পরবর্তী সময়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন তাঁরা। এখানে প্রাণভিক্ষার বিষয় রয়েছে। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেই রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রিভিউ আবেদনের রায় ঘোষণার পর পরই আজ দুপুরে বিটিআরসির নির্দেশে সারা দেশে ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটস-অ্যাপ ও মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেয় মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা। হঠাৎ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেই প্রশ্ন ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।
জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করার সময় একটা অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা চলতে পারে। নানা ধরনের কথাবার্তা আসছে এবং চলছিল। সে জন্যই দেশকে শান্ত রাখার জন্য, স্থিতিশীল রাখার জন্য, নিরাপত্তার খাতিরে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা আশঙ্কা করছি, কিছু হতে পারে। সে জন্যই এই ব্যবস্থা। আমরা মনে করছি না বা আমি বলছি না যে, আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে গিয়েছে। আমরা এটা যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় রাখার জন্য কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশেষ কারণেই এটা স্থগিত করা হয়েছে, স্বল্প সময়ের জন্য।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইতালীয় নাগরিক ডা. পিয়েরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর হরতালে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ দুজনের রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী