প্যারিসের নেক্কারজনক ঘটনায় বিশ্ববাসীর মত আমরাও উদ্বিগ্ন, হতভাগ ও নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। গোটা ইউরোপ এখন আতঙ্কে রয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, যে কোন সময় ইউরোপের যে কোন শহরে হামলা হতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মানের মানুষ ইউরোপে বসবাস করেন। তারা অন্যায় অপরাধ তেমন করেন না। জঙ্গী হামলার সঙ্গে ইউরোপের সাধারণ মানুষ তেমন ভাবে পরিচিত নন। কিন্তু এখন তারা জানতে পারছেন জঙ্গী হামলা কাকে বলে। প্যারিসে হামলার পর সারা বিশ্বে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও নিরাপত্তা হুমকির মুখে বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশে জঙ্গী বা আইএস আছে বা নেই বিতর্ক চলছে কিন্তু বাংলাদেশে জঙ্গী হামলা হয়েছে এবং হচ্ছে এটা সঠিক। কারণ বাস্তবতার উপরে কোন ইতিহাস নেই। ২০০০ সাল থেকে এখনো জঙ্গী হামলা হচ্ছে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় এক যোগে একই সময়ে জঙ্গী হামলা হয়েছে। আদালতে জঙ্গী হামলা হয়েছে। সরকার প্রধানকে হত্যার জন্যও জঙ্গী হামলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সরকার বলছে দেশে জঙ্গী নেই। সরকারের বক্তব্য বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ন কি না জানিনা। তবে আমরা জঙ্গী হামলায় আক্রান্ত তা সঠিক।
শুক্রবার ও রোববার দুই দফায় প্যারিসে জঙ্গী হামলার পর গোটা ই্উরোপে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম বলছে যে কোন সময় ইউরোপের যে কোন শহরে জঙ্গী হামলা হতে পারে। ফলে পুরো ইউরোপ এখন নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা বলা যায়।
প্যারিসের ঘটনার পর বাংলাদেশে জনগনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়নি। কারণ সরকার বলছে জঙ্গী নেই। তাই আমাদের মাথা ব্যাথাও নেই। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আমাদের পুলিশ প্রধান (আইজিপি) বলেছেন, সকল জনগনকে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। যাদের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখিন তাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। তারা নিরাপত্তা চাইলে তিনি নিরাপত্তা দিবেন। এর মানে হল কিছু লোক নিরাপত্তা পাবেন কিন্তু সবাই পাবেন না। এতে মনে হয়, পুলিশ প্রধান সাহেব মুষ্টিমেয় কিছু লোকের টেক্সের টাকায় বেতন নেন। সকলের টেক্সের টাকা তার বেতনে নেই। তাহলে প্রজাতন্ত্রের কোন কোন কর্মচারীর বেতন কোন কোন নাগরিক দিবেন তাও নির্ধারন করা দরকার। এটা হলে পুলিশ প্রধানের মত দায়িত্বশীল মানুষ এমন দায়িত্বহীন কথা বললে ভুল হবে না।