জাতীয় পতাকার মর্যাদা যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ণ না হয় এবং সবসময় পতাকা সমুন্নত থাকে সেজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ার মাঝিরা সেনানিবাসে আর্মার্ড কোর (সাঁজোয়া কোর) বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন, পঞ্চম কোর পুনর্মিলনী এবং ১২ ল্যান্সারকে জাতীয় পতাকা প্রদান’ অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বগুড়া সেনানিবাসে বৃহস্পতিবার সকালে ১২ ল্যান্সারকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী- ফোকাস বাংলা
প্রধামন্ত্রী বলেন, ‘এই ইউনিটের সদস্যরা অতীতের মতো আগামীতেও দেশের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে। জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা সশস্ত্র বাহিনীর যেকোনো ইউনিটের জন্য এক বিরল সম্মান। সেনাবাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোর সাঁজোয়া কোর। যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে এই কোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই ইউটিনের সদস্যরা নিয়মিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের জাতীয় সম্পদ ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতার প্রবর্তিত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ ও জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছে। এর আলোকে সেনাবাহিনীর উন্নয়নে সরকার যথাসম্ভব বাস্তবধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সময়োযোগী করে গড়ে তোলতে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় বগুড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর এবারই প্রথম বগুড়া সফলে এলেন শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটায় স্থানীয় আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। জনসভা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলেই ঢাকার উদ্দেশে বগুড়া ত্যাগের কথা তার।