সিলেট : শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি সিলেট জেলা ওলামা লীগের প্রচার সম্পাদক মাহি হোসেন মাছুম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলামেইলকে জানান, মঙ্গলবার সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মাসুম আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করে। আদালতের বিচারক আব্দুর রশিদ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, সাঈদ হত্যা মামলার আসামি মাসুম পলাতক থাকায় গত রোববার একই আদালতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তাতারি পরোয়ানা ও তার মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক আব্দুর রশিদ। কিন্তু ওই নিদের্শের দুই দিনের মাথায় তিনি আদালতে আত্মসর্ম্পণ করেন। পরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর, র্যাবের কথিত সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় ওলামালীগ নেতা মাছুম। এবাদুর, গেদা ও রাকিব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নিহত আবু সাঈদ রায়নগর হযরত শাহ মীর (রহ.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও একই এলাকার দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়াবাজারের খশিলা এলাকায়।