ঢাকার উত্তরার এক বাসায় তাইওয়ানের এক ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রী তাদের প্রতিষ্ঠানের ‘সাবেক কর্মচারীর হামলায়’ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুই বিদেশি নাগরিক খুন ও তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে পুলিশ হত্যার দুটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে নগরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যেই শুক্রবার প্রথম প্রহরে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে শুক্রবার বিকালে।
আহত ব্যবসায়ী ওয়াং মিং চি (৫৪) এবং তার স্ত্রী লিও লি হুয়া’কে (৫০) ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা দুজনেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
এই দম্পতি বাংলাদেশে আছে প্রায় দশ বছর ধরে। গাজীপুরের গাছা এলাকায় জিং জিন ইয়াং ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড নামে তাদের একটি কারখানা আছে, যেখানে পিভিসি ডোর ও সিলিং তৈরি করা হয়।
ওয়াং মিং চি ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার স্ত্রীও এর একজন পরিচালক।
কারখানার ব্যবস্থাপক (জিএম) শামির হাসিব বলছেন, ওই দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে ক্ষত দেখে তার মনে হয়েছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি, হাসপাতালও কোনো তথ্য দেয়নি।
মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে তার নাম জাহাঙ্গীর। তার শ্যালক সাজু একসময় তাইওয়ানের ওই ব্যবসায়ীর কর্মচারী ছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে তিনি ওই কারখানায় কাঁচামাল সরবরাহের কাজ শুরু করেন।
সে কারণে ওয়াং মিং চি’র উত্তরার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল সাজুর। তার কাছে ওই বাসার একটি চাবিও ছিল বলে পুলিশের তথ্য।
“ব্যবসার টাকা-পয়সা বকেয়া নিয়ে কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তাইওয়ানের ওই ব্যবসায়ী টাকা তুলেছেন খবর পেয়ে সাজু, জাহাঙ্গীরসহ তিনজন গতরাতে ওই বাসায় ঢোকে। তারপর ওই দম্পতিকে মারধর করে ছয় লাখ টাকা নিয়ে চলে যায়।”
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং শুক্রবার ভোরের দিকে বাইপাইল থেকে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে বলে মুনতাসিরুল ইসলাম জানান।