ঢাকা: চেন্নাইয়ের কে প্রীতিকা ইয়াশিনিকে শিগগিরই পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে ভারত। তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী প্রথম নিয়োগ পাচ্ছেন তিনিই।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের দেওয়া রায় অনুযায়ী ২৪ বছর বয়সী ওই প্রার্থীকে পুলিশের এসআই হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার।
জন্মের পর প্রদীপ কুমার নাম নিয়েই বেড়ে উঠেছেন কম্পিউটার বিষয়ের এই স্নাতক। পরবর্তীতে সার্জারির মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তনের পর প্রীতিকা নাম নেন তিনি। কিন্তু এ সময়টা তার জন্য খুবই কষ্টের ছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোনো ক্যাটাগরি না থাকায় প্রথমে প্রীতিকার আবেদনপত্র বাতিল করে দেয় রাজ্যের পুলিশ নিয়োগ বোর্ড।
তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোনো কোটা বা রেয়াতি শর্তে লিখিত পরীক্ষা, শারীরিক পরীক্ষার বা ইন্টারভিউয়ের কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
এরপর প্রীতিকা এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। তবে শারীরিক পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হন তিনি। শুধুমাত্র ১০০মিটার ড্যাশে তার এক সেকেন্ড দেরি হয়েছিল, যদিও তা গ্রহণ করে নিয়োগ বোর্ড।
প্রীতিকা বলেন, ‘আমি খুবই উদ্দীপ্ত। এর মাধ্যমে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো।’
তার আইনজীবী ভবানী, যিনি এ ধরনের আরও অনেক সরকারি চাকরি প্রার্থীর মামলা নিয়ে আদালতে লড়েছেন।
বললেন, ‘এই রায়ে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হল।’
রায়ে একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশ বাহিনীতে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে নিয়োগ বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ভারতীয় উপদ্বীপের দক্ষিণের অঙ্গরাজ্য তামিলনাড়ু সরকার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য কলেজের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়। যারা আগে কোনো সুযোগ সুবিধা কিংবা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পেতেন না।
এর আগে রাজ্যের মাদুরাই জেলায় দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে হোমগার্ড হিসেবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়োগ দেওয়া হয়।