প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশরার এ সংক্রান্ত খসড়া অনুমোদনের পর বুধবারই তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী।
এই বিধিমালা কার্যকর হলে পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে মেয়র পদে ৪০০ এবং কাউন্সিলর পদে ৫০ জন ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
জেসমিন টুলী বলেন, “মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পলে নির্বাচন বিধিমালা, আচরণ বিধিমালা ও সমর্থন যাচাই বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করবে ইসি।”
এই প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকারের পৌরসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে। সে অনুযায়ী দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন, দলীয় ব্যয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নসহ বেশ কিছু বিষয়ে সংশোধনী আনা হচ্ছে এই বিধিমালায়।জেসমিন টুলী জানান, প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় বিদ্যমান বিধিমালায় ঠিক করে দেওয়া আছে। এবার দলভিত্তিক ভোট হবে বলে দলীয় নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে।
কোনো নিবন্ধিত দল পৌর নির্বাচনে মেয়র বা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী দিলে সব মিলিয়ে প্রতি পৌরসভায় এক লাখ টাকার বেশি ব্যয় করতে পারবে না।
কোনো দল ভোটের খরচ মেটাতে অনুদান নিলে ২০ হাজার টাকার বেশি চেক নিতে পারবে না। দলের ক্ষেত্রে এসব বিধি লঙ্ঘন হলে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে।সব ঠিক থাকলে আসছে ডিসেম্বরে দেশের তিন শতাধিক পৌরসভার মধ্যে আড়াইশ পৌর এলাকায় ভোট আয়োজন করবে ইসি।