
ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিনা এলাকায় মেঘনা নদীতে ঢাকাগামী দুইটি লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৪ জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।
নিহতরা হলেন- ভোলার লালমোহন উপজেলার কাজিরাবাদ এলাকার সিরাজুল ব্যাপারীর ছেলে আব্দুল গনি (৩৮), একই এলাকার মো. কালুখার ছেলে মো. সাজু (৪৫), কচুখালী গজারিয়া এলাকার মৃত মোক্তার হোসেনের মেয়ে মোসা. রিনা (৩৫) এবং চরফ্যাশন উপজেলার আহমদপুর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মো. হানিফ (৬০)।
আহতরা হলেন- ভোলার লালমোহন উপজেলার কাজিরাবাদ এলাকার মাতলাব ব্যাপারীর ছেলে মো. শাহাদত, কচুখালী এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে মোহাম্মদ মিনা (৪৫) এবং চরফ্যাশন উপজেলার আহমদপুর এলাকার হানিফের স্ত্রী মোসা. রহিমা (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রীদের বরাতে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ভোলার ঘোষেরহাট ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চ। চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে পৌঁছানোর পর ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চটি ধীর গতিতে চলছিল। এ সময় বরিশালের যাত্রীবাহী লঞ্চ অ্যাডভেঞ্চার-৯ এর সঙ্গে এর সংঘর্ষ হয়। এতে এমভি জাকির সম্রাট লঞ্চটির এক পাশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় দুই লঞ্চে থাকা অন্তত চারজন যাত্রী প্রাণ হারান এবং আরও কয়েকজন আহত হন।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বরিশাল ও ঝালকাঠির উদ্দেশে যাচ্ছিল। অন্যদিকে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় লঞ্চ দুটি মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি আটক করে ঢাকা নৌ-পুলিশ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক বাবুলাল বৈদ্য বলেন, দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। পরে আহতদের মধ্যে আরও কয়েকজন মারা যান।
