শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ‘রাজতন্ত্র’ কায়েম করেছেন দাবি করে আওয়ামী লীগকে হটাতে ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ে তোলার কথা বলেছেন খালেদা জিয়া।
ছেলে তারেক রহমানকে পাশে রেখে রোববার লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
দেড় মাস ধরে লন্ডনে অবস্থানের মধ্যে খালেদার প্রথম এই প্রকাশ্য সভায় পুত্রবধূ জোবাইদা রহমানও ছিলেন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য দল গোছাতে শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলেও প্রবাসী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতায় বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা বলেন, বাংলাদেশে এখন আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
“বাংলাদেশের মানুষ আজকে মোটেও ভালো নেই, মোটেও শান্তিতে নেই। প্রতিনিয়ত জুলুম-অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।”
“এক রাজতন্ত্র বাংলাদেশে কায়েম হয়েছে এখন। রাজতন্ত্রের জন্য আছেন একজন লেডি হিটলার। কারণ তিনি যা হুকুম দিচ্ছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন; তার সৈন্য-সামন্তরা যারা আছে, অর্থাৎ প্রশাসন, তারা সেভাবে কাজ করছেন। সবকিছু তার কথামতো চলে।”
দেশে এখন গণতন্ত্র নেই দাবি করে তিনি বলেন, “সেজন্য একের পর এসব ঘটনা ঘটছে। আর সবকিছুতে বিএনপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে।”
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বিবিসিকে দেওয়া শেখ হাসিনার এক সাক্ষাৎকার তুলে ধরে খালেদা বলেন, “তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশে যাব রা্জনীতি করার জন্য নয়, প্রতিশোধ নিতে’। তিনি দেশ গড়তে আসেননি। তিনি এসেছেন দেশ ধ্বংস করতে।”
আওয়ামী লীগ ‘প্রতিশোধ প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করে দাবি করে তিনি বলেন, এই প্রতিশোধ প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিতে হবে।
জঙ্গিবাদের উত্থানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকেই দায়ী করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা।
“জঙ্গি জঙ্গি হাসিনাই বলেছে, কিসের জন্য? বিদেশিদের ভয় দেখানোর জন্য। বোঝাতে চাইছে আমরা যদি চলে যাই, বিএনপি এলে জঙ্গিদের উত্থান হবে। …কিন্তু দেখেন, জঙ্গিদের উত্থান কিন্তু আওয়ামী লীগের সময় হয়েছে। তারা একটা জঙ্গিকে ধরেনি। আমরা এসে সব জঙ্গিকে ধরেছি।”