
সন্ত্রাসীদের দমন এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অবিলম্বে অপারেশন ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় পর্যায় ‘ফেইজ-টু’ চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা আবেদন করলে তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর আক্রমণের ঘটনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত বা বানচাল করার যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।’
হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারব। এ হামলায় জড়িত কাউকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।’
নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তারা যদি অস্ত্র চান, তবে তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে।
আর যেসব প্রার্থীর অস্ত্র সরকারের কাছে জমা রয়েছে, সেগুলো তাদের ফেরত দেওয়া হবে।’
তিনি আরো জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এটিকে আরো জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং সন্ত্রাসীদের দমনের উদ্দেশ্যে কমিটি অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-টু অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
’
বৈঠকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
