লন্ডন: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। সেজন্য এসব ঘটনা ঘটছে। আর সবকিছুতেই বিএনপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। রোববার লন্ডনের রিভারব্যাংক পার্ক হোটেলে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে এখন আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। মানুষ মোটেও ভালো নেই। শান্তিতে নেই। প্রতিনিয়ত জুলুম-অত্যাচার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ আর প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। এই প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ‘রাজতন্ত্র’ কায়েম করেছে মন্তব্য করে খালেদা বলেন, রাজতন্ত্রের জন্য আছেন একজন লেডি হিটলার। তিনি যা হুকুম দিচ্ছেন, তার সৈন্য-সামন্তরা (প্রশাসন) সেভাবে কাজ করছেন। সবকিছু তার কথামতো চলে। আওয়ামী লীগকে হটাতে জাতীয় ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ে তোলারও আহবান বিএনপি নেত্রী। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমি বাংলাদেশে যাব রাজনীতি করার জন্য নয়, প্রতিশোধ নিতে’। তিনি দেশ গড়তে আসেননি। তিনি এসেছেন দেশ ধ্বংস করতে। জঙ্গি জঙ্গি হাসিনাই বলেছে, কিসের জন্য? বিদেশীদের ভয় দেখানোর জন্য। বোঝাতে চাইছে বিএনপি এলে জঙ্গিদের উত্থান হবে। কিন্তু জঙ্গিদের উত্থান কিন্তু আওয়ামী লীগের সময় হয়েছে। তারা একটা জঙ্গিকে ধরেনি। আমরা এসে সব জঙ্গিকে ধরেছি।
এসময় ঢাকায় আন্দোলনের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে খালেদা জিয়া বলেন, ঢাকায় সেভাবে করা সম্ভব হয়নি। ঢাকা শহরে বের হলেই গুলি করে দেয়। তবে সারা দেশে যে আন্দোলন হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তা হয়নি। আন্দোলন দমাতে পুলিশ গাড়ি পুড়িয়ে সেই দায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর চাপিয়েছে।
শেখ হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা। তিনি বলেন, গত সাত বছরে বিএনপির তিন হাজার নেতাকর্মীকে খুন হয়েছে। এক হাজার ২০০ জনকে গুম হয়েছে। এক হাজার ১২ জনকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে। বর্তমান র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর মেরেছে তার কোন হিসাব নেই।
বিএনপি নেত্রী বলেন, দেশে আমার যাওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন। গিয়ে আমাকে বাকি কাজগুলো করতে হবে। এরা (পরিবার) আমাকে যেতে দিতে দেয় না। কিন্তু আমাকে যেতে হবে। স্থায়ী কমিটির নেতাদের অনেক কিছু দেখিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু হলে ওরা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সেজন্য আমার যাওয়াটা প্রয়োজন। তাই আমাকে যেতেই হবে।
খালেদা আরও বলেন, বিএনপি ভাঙার জন্যও সরকার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারেনি। বিএনপিকে ভাঙা যাবে না। সত্যি কথাই বলি, এরশাদ তেমন করেনি। ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনও কম করেনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে সংসদে কোন কাজ হয় না। শুধু খালেদা, তারেক আর জিয়াউর রহমানকে গালিগালাজ করা হয়। এমপি হওয়ার যোগ্যতা নেই এমন অনেককে মন্ত্রী করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেসামরিক প্রশাসনকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে। অনেক যোগ্য, মেধাবী কর্মকর্তাকে দায়িত্বের বাইরে রাখা হয়েছে।
ক্ষমতায় গেলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বিচারের বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয় ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।
এসময় ঢাকায় আন্দোলনের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে খালেদা জিয়া বলেন, ঢাকায় সেভাবে করা সম্ভব হয়নি। ঢাকা শহরে বের হলেই গুলি করে দেয়। তবে সারা দেশে যে আন্দোলন হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তা হয়নি। আন্দোলন দমাতে পুলিশ গাড়ি পুড়িয়ে সেই দায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর চাপিয়েছে।
শেখ হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা। তিনি বলেন, গত সাত বছরে বিএনপির তিন হাজার নেতাকর্মীকে খুন হয়েছে। এক হাজার ২০০ জনকে গুম হয়েছে। এক হাজার ১২ জনকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে। বর্তমান র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর মেরেছে তার কোন হিসাব নেই।
বিএনপি নেত্রী বলেন, দেশে আমার যাওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন। গিয়ে আমাকে বাকি কাজগুলো করতে হবে। এরা (পরিবার) আমাকে যেতে দিতে দেয় না। কিন্তু আমাকে যেতে হবে। স্থায়ী কমিটির নেতাদের অনেক কিছু দেখিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু হলে ওরা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সেজন্য আমার যাওয়াটা প্রয়োজন। তাই আমাকে যেতেই হবে।
খালেদা আরও বলেন, বিএনপি ভাঙার জন্যও সরকার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারেনি। বিএনপিকে ভাঙা যাবে না। সত্যি কথাই বলি, এরশাদ তেমন করেনি। ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনও কম করেনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে সংসদে কোন কাজ হয় না। শুধু খালেদা, তারেক আর জিয়াউর রহমানকে গালিগালাজ করা হয়। এমপি হওয়ার যোগ্যতা নেই এমন অনেককে মন্ত্রী করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেসামরিক প্রশাসনকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে। অনেক যোগ্য, মেধাবী কর্মকর্তাকে দায়িত্বের বাইরে রাখা হয়েছে।
ক্ষমতায় গেলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বিচারের বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয় ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।