গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার ফরিদপুর গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে (১৩) ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিকটিম ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীণ বড়বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
ঘটনার পর অভিযুক্ত শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার ফরিদপুর গ্রামের মৃত ছফির উদ্দিন মিয়ার ছেলে সামছুদ্দিন মিয়া (৪৫) ও তার দুলাভাই রহমত আলীসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার বড় ভাই শ্রীপুর থানায় রোববার প্রথম প্রহরে মামলা করেছেন।
মামলার বাদি ভিকটিমের বড় ভাই জানান, ২৮শে অক্টোবর দুপুরে তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন হাটপাড়া এলাকা থেকে একই জেলার ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর এলাকায় তার (বড় ভাই) বাসায় বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে পথ ভুলে গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকায় চলে যায়। এসময় সামছুদ্দিন তার বোনকে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে শ্রীপুরের ফরিদপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। পরে সামছুদ্দিন ও তার দুলাভাই রহমত আলীসহ কয়েকজনে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। ৩১শে অক্টোবর তার বোন রহমতের বাসায় রয়েছে বলে খবর পান তিনি। পুলিশের সহযোগিতায় তাকে সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। শ্রীপুর হাসপাতালে নেয়ার পর জ্ঞান ফিরে তার বোনের। তখন সে তার কাছে সবকিছু খুলে বলে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তার বোন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিতসাধীন রয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মেয়ের বড় ভাই বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে জড়িত শ্যালক-দুলাভাইসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।