ঢাকা: তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের অবস্থান, মতামত, তথ্য, লেখনি, আবেগ অনুভূতির প্রকাশ এবং ছবি ভাগ করে নেয়া হচ্ছে কাছের মানুষ গুলোর সঙ্গে। প্রতিটি মুহূর্ত স্মরনীয় রাখতে চটপট সেলফি তুলেও আপলোড হচ্ছে। নিজের তালিকায় থাকা বন্ধুদের দারুণ কমেন্টসের উৎসাহে একের পর এক সেসব ছবি আপলোড করে চলেছি নির্দ্বিধায়। ফেইসবুক, টুইটার অথবা অনলাইন সংরক্ষণের ফ্লিকারে সেগুলো আপলোড হচ্ছে।
বর্তমানে ছবি তোলার জন্য আলাদা ক্যামেরার দরকার হচ্ছে না। হাতে থাকা মোবাইলে এখন বেশ উন্নত মানের ক্যামেরা থাকে। যে কোনো অনুষ্ঠানে, দর্শনীয় স্থানে সহজেই আমরা নানা পোজে ছবি তুলে নিতে পারি। নিজের অনুভূতিকে সবাই যেন একটু হলেও বুঝতে পারে এ যেন তারই জোর প্রচেষ্টা। এই বিষয়গুলো সহজ হওয়াতে কারো প্রবণতা গিয়ে ঠেকেছে একদম শেষ প্রান্তে। তাদের ছবি তোলার উদ্দেশ্য যেন শুধুই ইন্টারনেটে আপলোড।
বর্তমান প্রযুক্তির সহজলভ্যতা যেমন ভালো পথে ব্যবহার হচ্ছে, ঠিক তেমনি মন্দ পথেও ব্যবহার হচ্ছে। আপলোড করা ছবি সব সময় আমাদের হিতাকাঙ্ক্ষীরা দেখছে তা ভাবা সম্পূর্ণ ভুল। অনেক দুষ্কৃতকারী ওৎ পেতে থাকে ভালো ছবি পাওয়ার জন্য। তারা ছবি বিকৃত করে সমাজের কাছে ব্যক্তিকে হেয় করে। ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পয়সা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।
যে ছবিগুলো ইন্টারনেটে আপলোড করছি সেগুলো কতটুকু নিরাপদ? সেই সঙ্গে ছবিতে উপস্থিত মানুষগুলোই বা কতটুকু নিরাপদ? আমরা অনেক সময় ফেইসবুক অথবা অন্য কোথাও কোনো ছবি আপলোড করে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করি না। এটা আমাদের সতর্কতার অভাবে হয়ে থাকে। অনেক সময় কোনো ব্যক্তির ছবি নিয়ে খোলা হয় ভুয়া একাউন্ট। এসব একাউন্ট থেকে করা হয় নানা অসামাজিক কার্যকলাপ।
কোনো ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করতে হলে কাছের এবং বিশ্বস্ত বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপ করতে পারেন। যেখানে আপনার ছবি শুধু তারা দেখতে পারবে এবং নিরাপদ থাকবে। কিন্তু ইন্টারনেটে যে ছবি ও ডাটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে তার উপর অধিকার হয়ে যায় সবার। তাই দুষ্কৃতিকারীরা সহজেই তার অপকর্ম গুলো করতে পারে।
আপনার জীবনকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারে একমাত্র সচেতনতা। তাই ইন্টারনেটে ছবি আপলোড করতে সতর্ক হতে হবে আরও একবার।