যুদ্ধ নয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই আন্দোলন : খালেদা জিয়া

Slider গ্রাম বাংলা টপ নিউজ রাজনীতি

55099__MG_0635

গ্রাম বাংলা ডেস্ক:  বর্তমান সরকারকে জবর দখলকারী আখ্যায়িত করে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আগামী ঈদের পর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা নিজেদের জনগণের সরকার দাবি করে। অথচ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে-বিদেশে সর্বত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। কোথাও গ্রহণযোগ্য হয়নি। এখন তারা দুর্নীতি ছাড়া মানুষের উন্নয়নে কিছুই করছে না, যেখানেই টাকা সেখানেই তারা। এভাবে একটি অনির্বাচিত সরকার দিয়ে দেশ চলতে পারে না। প্রয়োজন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকার। এজন্য ঈদের পর যে আন্দোলনের কথা বলেছি সেটি যুদ্ধ নয়, গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। এ আন্দোলনে তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে দলমত নির্বিশেষে সব নেতাকর্মী ও পেশাজীবীদের শরিক হওয়ার আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসকাব চত্ত্বরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ।
খালেদা জিয়া আরো বলেন, দেশে এখন দুঃসময় চলছে। জোর করে ক্ষমতায় থাকা দলের অত্যাচারে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। দেশে জান মালের কোনো নিরাপত্তা নেই। দিন দিন দারিদ্রতা ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচিত সরকার না থাকায় দেশি বিদেশী বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারি দল ছাড়া আজ দেশে কেউ ভালো নেই। সত্য কথা বললে জেলে যেতে হয়। অন্যথায় মামলা দিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাই আমি যুদ্ধ করতে বলছি না। গণতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতি ফিরে পেতে ন্যায় সঙ্গত আন্দোলন গড়ে তুলবো।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব কিছু ভুলে অধিকার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন ও ভোটের অধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের আমলে ঢাকার যানজট ও রাস্তাঘাটের নোংরা পরিবেশের জন্য ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, আজ দেশের লাখ লাখ তরুণ বেকার হয়ে পড়েছে। তারা কাজ পাচ্ছে না। অথচ সরকারী দলের হলেই যোগ্যতার বিচার না করেই চাকরি দেয়া হচ্ছে। এ কারণে চাকরি না পেয়ে যুব সমাজের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকারের হাতে সাংবাদিকরাও নিরাপদ নয়। ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ নেতাদের হাতে সাংবাদিকরা হত্যা, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। সাংবাদিকরা এভাবে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
মাহফিলে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, ভাইস-চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক তাসনীম আলম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী সহকারি সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মসিউল আলম, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য জাহিদুর রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক, লেবারপার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির যুগ্ম সম্পাদক শাহাদত হোসেন সেলিম, জাগপার যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান খান আসাদ, বিএনপির মহানগর সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, জাসাদের সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান, কন্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন প্রমুখ।
বরেণ্য সাংবাদিক ও নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসকাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজে সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজের সহ-সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, নুরুল আমিন রোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ভাষা সৈনিক ও সাংবাদিক এম এ গফুর, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মীর আহমেদ মীরু প্রমুখ।
পেশাজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অদ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি ড. আফম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ মিয়া আলম, অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *