স্বজনদের অভিযোগ, জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
শ্রীপুর থানার এসআই মো. আমিনুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চকপাড়া এলাকায় ওই বাড়ির বারান্দা থেকে তারা শিশুর লাশ উদ্ধার করেছেন।
নিহত নাজনীন আক্তার (৭) স্থানীয় চকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
নাজনীনের বাবা আক্কাছ আলী ও মা আসমা বেগমের বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে সে চকপাড়ায় নানার বাড়িতেই থাকত। ঘটনার সময় ঘরে নাজনীন ও তার নানি মিনুজা বেগম ছিলেন।
নানা হাসমত আলী হাসু টাঙ্গাইলে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন; তার মামা রিপন মিয়া ঢাকায় থাকেন।
মিনুজা বেগমের বরাত দিয়ে এসআই আমিনুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাতে নানির সঙ্গে একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিল নাজনীন। রাত ২টার দিকে পুলিশের লোক পরিচয়ে দিয়ে কয়েকজন লোক দরজা খুলে দিতে বলে।
“দরজা খুলে দিলে তিন জন ঘরে ঢুকে নাজনীনকে তুলে টেনে বাইরে নিয়ে যায় এবং নানিকে ঘরে রেখে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয়। ভোর ৪টার দিকে মিনুজার চিৎকার শুনে প্রতিবেশী এক নারী দরজা খুলে দিলে বারান্দায় নাজনীনের গলাকাটা লাশ দেখতে পান।”
এদিকে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে নাজনীনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের মামা রিপন
তিনি জানান, প্রায় তিন বছর আগে স্থানীয় আব্দুল করিম ও তার ভাই আব্দুল কাদির মধ্যস্থতা করে তার বাবার চকপাড়ার প্রায় ১১ শতাংশ জমি শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকার এমদাদুল হকের কাছে বিক্রি করে দেন।
“তারা জমি বিক্রির টাকা থেকে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে আরেক স্থানে জমি কেনার আশ্বাস দিয়েছিল। পরে তাদের মালিকানাধীন একটি জমিতে একটি বাসায় আমাদের থাকতে বলে। এর পর থেকে আমরা ওই বাসাতেই আছি।
“আমরা ওই বাড়িসহ জমি রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে বেশ কিছুদিন ধরে তারা সেটি ছেড়ে দিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে করিমদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শিশুটির বাবা আক্কাছ দ্বিতীয় বিয়ে করে গাজীপুর শহরের কোণাবাড়িতে থাকেন। নাজনীনের মাও বিয়ে করে সলিং মোড় এলাকায় থাকছেন।