ঢাকার মিরপুর, কাফরুল, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল নিয়ে বেরিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা, যে দলটির অধিকাংশ শীর্ষ নেতা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে কারাগারে আছেন।
বুধবার সকালে এসব ঘটনায় অন্তত ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ, উদ্ধার করা হয়েছে বিস্ফোরক।
জামায়াতের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের প্রতিবাদে বুধবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারানো দলটির।
এর অংশ হিসেবে সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মিছিলের চেষ্টা করে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীরা।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শঙ্কর কর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কোনাপাড়া মুরগির ফার্ম এলাকায় মিছিল বের করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
“জামায়াত-শিবিরের মিছিলের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ঢিল ও ককটেল ছোড়া হয়। পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।”
পরে সেখান থেকে ব্যানারসহ তিনজনকে আটক করা হয় বলে জানান ওসি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি তাদের নাম জানাতে পারেননি।
এর আগে ভোর ৪টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পেট্রোল বোমা ও ককটেলসহ জামায়াত-শিবিরের আট নেতাকর্মীকে আটক করা হয় বলে মিরপুর থানার ওসি ভূইয়া মাহাবুব হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু পোস্টার, ধর্মীয় উস্কানিমূলক বই, পেট্রোল বোমা ও ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।”
আটকরা হলেন- ইদ্রিস খান (২৪), আরিফুর রহমান (২৩), সাজ্জাদুল আলম (২৫), আবুল কাশেম (৫৫), আনোয়ার হোসেন (৩২), নবীর উদ্দিন (৩৭), আবু সাঈদ (৪৫) ও মাহবুব হোসেন (২৮)।
তাৎক্ষণিকভাবে এদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি মিরপুরের ওসি।
এদিকে সকাল সোয়া ৯টার দিকে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকাতেও মিছিলের চেষ্টা করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
কাফরুল থানার এসআই হেলেনা পারভীন জানান, সেখানে পুলিশ লাঠিপেটা করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে।
মিছিল থেকে ছোড়া ঢিলে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন জানালেও তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম বা ঘটনার বিস্তারিত জানাতে পারেননি এসআই পারভীন।