
ছবি( টঙ্গীতে হানিট্রাপের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬ আসামী)
গাজীপুর: ফেসবুকের মাধ্যমে হানিট্রাপের ফাঁদে ফেলে প্রেমিককে ডেকে এনে অপহরণ করে মারধর ও দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দাবীর ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ভিকটিমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে হানিট্রাপ চক্রের ৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার(১৩ আগষ্ট) টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ এই সংক্রান্ত একটি মামলা নিয়ে ৬জনকে গ্রেপ্তার করে। টঙ্গীর গোপালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার তিনমারী চন্দনপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে আশামনি (২৬), গাজীপুরের পূর্ব চান্দনা এলাকার শাহজাহানের ছেলে শেখ ফরিদ (২৬), ঢাকার মিরপুরের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪৫), গাজীপুরের কাপাসিয়ার ফুলবাড়িয়া এলাকার শহিদুল্লার ছেলে জাবেদ হোসেন সবুজ (৫০), ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার সজনকান্দা গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়া (৪৫), ভোলা জেলার দৌলতখান থানার জয়নাগর সরদার বাড়ি গ্রামের আব্দুল বাকির ছেলে মোঃ বশির (৩৫)। এই মামলায় পলাতক আসামী টাঙ্গাইলের সাবিনা (৪৫)। তারা সবাই টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার রাজনগর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে ব্যবসায়ী সুজন বেপারী (৩৮) ঢাকার লালবাগ থানার নবাবগঞ্জে বসবাস করেন। গত এক মাস আগে ৭নং আসামী সাবিনার সাথে বাদীর ফেসবুকে প্রেম হয়। প্রেমের সূত্র ধরে মঙ্গলবার(১২ আগষ্ট) রাত ১০টার দিকে বাদী টঙ্গীর স্টেশন রোডে প্রেমিকা সাবিনার সাথে দেখা করতে আসলে বিবাদীরা তাকে অপহরণ করে টঙ্গীর গোপালপুর এলাকায় ১ নং আসামীর ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে সাথে থাকা ৩ হাজার টাকা নেয়। এরপর তারা বাদীর কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এই সময় গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও ৬ আসামীকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু সাবিনা কৌশলে পালিয়ে যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় ৬ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
