গাজীপুর মহানগরের রাজনীতিতে এক সময়কার সুপরিচিত নাম এড,নজরুল ইসলাম খান বিকি। তিনি শুধু পূবাইলের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলরই নন, বরং ছিলেন বিএনপির তৃণমূল রাজনীতির এক পরীক্ষিত, ত্যাগী ও সাহসী সংগঠক। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পরিচয়ে তিনি যেমন পেশাগতভাবে প্রতিষ্ঠিত, তেমনি রাজনীতির মাঠেও ছিলেন আপসহীন সংগ্রামী।
বিএনপির অস্থির সময়গুলোতে বহু নেতাকর্মী যখন নিরবতা বেছে নিয়েছেন, তখন এড,নজরুল ইসলাম খান বিকি ছিলেন রাজপথে। বারবার মামলা, গ্রেপ্তার, জেল এবং পুলিশি নির্যাতন সত্ত্বেও তিনি কখনো পিছপা হননি। তাঁর নেতৃত্বে পূবাইল থানা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি ছিল চাঞ্চল্যকর এবং শক্তিশালী। অথচ সেই বিকি আজ রাজনীতির মাঠে নীরব। প্রশ্ন উঠছে—তিনি কোথায়? কেন দলে ফিরছেন না? বা কেন দলে ফিরানো হচ্ছেনা?
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে পূবাইল ও গাজীপুর বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ মনে করেন—বিকির মতো রাজপথের যোদ্ধারা দলে ফিরলে বিএনপির আন্দোলন-সংগঠন অনেক বেশি গতিশীল হবে। রাজনীতির এই কঠিন সময়ে দলকে চাঙা করতে বিকির মতো সাহসী, অভিজ্ঞ নেতাদের প্রয়োজন অনেক বেশি।
তাঁর প্রতি নেতাকর্মীদের ভালোবাসা এখনো অটুট, কিন্তু তার প্রত্যাবর্তন না হওয়ায় অনেকে মনে করছেন, বিএনপি হয়তো নিজের শক্তি নিজেই খর্ব করছে।
এড,নজরুল ইসলাম খান বিকির রাজনৈতিক নীরবতা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। তিনি শুধু একজন ব্যক্তি নন, বরং একজন প্রতীক—ত্যাগ, সাহস আর আন্দোলনের। তাঁর ফিরে আসা শুধু সময়ের দাবি নয়, বরং বিএনপির ভবিষ্যৎ সংগ্রামের জন্য একটি বড় সম্পদ হতে পারে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এই মূহুর্তে বিকির মত যারা গাজীপুরে আছেন,তাদেরকে মূল্যায়ন করে বিএনপির হাত শক্তিশালী করার এখনই মোক্ষম সময়। বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভেবে দেখা উচিত বলে মনে করছে গাজীপুর তথা পূবাইলবাসী তথা বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।কারণ রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।

