শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা

Slider বাংলার মুখোমুখি


প্রায় ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সাড়ে ১২ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৭ জুলাই) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক নিজ নামে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৩৫৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। তার কোনো স্বীকৃত ব্যবসা বাণিজ্য না থাকা সত্ত্বেও অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থের উৎস আড়াল করার অসৎ উদ্দেশ্যে ৩টি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৯ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করে দুদক। যা এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। যার মধ্যে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকও অন্যতম আসামি।

অন্যদিকে গত ১৭ জুলাই ৬২ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন, পাচার ও ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ও রাদওয়ান মুজিবের চাচা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে পৃথক চার মামলা করে দুদক।

মামলাগুলোতে তারিক সিদ্দিকের নামে ২৮ কোটি ৫৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৩২ টাকার অবৈধ সম্পদ, তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার ২১৩ টাকা, তাদের দুই মেয়ে নুরিন তাসমিয়া সিদ্দিক ও বুশরা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯২ টাকা ও ৪ কোটি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *