স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দাবি করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় এ দাবির কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যা শুরু করেছে তাতে মনে হয় তারা একতরফা, একটি দলের পক্ষে কাজ করছে। আমি এমপি হওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। জনগণের ভোটাধিকার অর্জনের জন্য রাজনীতি করি। নির্বাচন কমিশন সুপ্রীম কোর্ট থেকে জাতিসংঘে গেলেও আমার আপত্তি নেই। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রেখেছি।
সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতীক ও দলের কালিহাতী উপজেলা শাখার সভাপতি হাসমত আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আদালতের রায়ে কালিহাতীতে প্রতিক্রিয়া
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে উপনির্বাচন স্থগিত করে আদালতের দেয়া রায়ে হতাশ নন প্রধান দুটি দলের নেতা-কর্মীরা। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা দিয়েছে। তারা চেয়েছিলেন ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো শক্তিশালী প্রার্থী কাদের সিদ্দিকী থাকলে নির্বাচন জমে উঠবে। সেজন্য কালিহাতীতে নির্বাচনী আমেজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু আদালতের স্থগিতাদেশের পর সে আমেজে কিছুটা হলেও ভাটা পড়বে বলে মনে করছেন তারা।
কালিহাতী শহরের সাতুটিয়া এলাকার আবদুল মালেক বলেন, ভোটের সময় আলাদা মজা হয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে পাল্লা দিতে কাদের সিদ্দিকী আসছিল। সে আসায় আস্তে আস্তে মাঠ গরম হয়ে উঠছিল। আবার নির্বাচন নাকি বন্ধ করা হইছে। মজাডা পিছাইয়া গেলো। কুষ্টিয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়া বলেন, নির্বাচনতো একদিন হবোই। কাদের সিদ্দিকী থাকলে মানুষ ভোট দিতে যাবো। তাকে বাদ দিলে আর ভোটাভুটি হবো না। খালি মাঠে গোল দিবো আওয়ামী লীগ। কাদের সিদ্দিকীরে নির্বাচন করতে দেয়া দরকার। দেখা যাক, সামনে কী হয়।