আমি আসছি, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ’— প্রশিক্ষককে বলেছিলেন নিহত পাইলট তৌকির

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম। এ দুর্ঘটনার খবর শুনে সোমবার বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে তৌকিরের রাজশাহীর বাড়িতে ছুটে আসেন তার প্রশিক্ষক মোস্তাক আহমেদ।

এসময় তৌকিরের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কথার এক পর্যায়ে তিনি তৌকিরের শিক্ষা ও কর্ম জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি পাবনা ক্যাডেট কলেজে তার প্রশিক্ষক ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, তৌকিরের সঙ্গে এক মাস আগেও কথা হয়েছিল তার। ওই সময় জানিয়েছিলেন, তার সঙ্গে শিগগিরই দেখা হবে।

প্রশিক্ষক মোস্তাক আহমেদ বলেন, “তৌকির খুব মেধাবী ছিল। ভীষণ মিশুক ও শান্ত ছেলে ছিল। তার কথা এখন খুব মনে পড়ছে। সে ছোটদের স্নেহ ও বড়দের সম্মান করতে জানত।”

বিমানবাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তাক আহমেদ বলেন, “আমি রাজশাহীর মানুষ সেও রাজশাহী ছাত্র। সেই হিসেবে আমি তাকে চিনি। মিডিয়ায় সংবাদ দেখার পরে আমি এসেছি। সে শিক্ষার্থী ভালো, মানুষ হিসেবে ভালো, পাইলট হিসেবেও ভালো ছিল। তার পাইলট হওয়ার ইচ্ছা শুরু থেকেই। তার সব বিষয়ে অ্যাক্টিভিডি ভালো ছিল। তার ছবি দেখলে বুঝবেন তার স্মার্টনেস কেমন ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “তৌকির নম্র, ভদ্র ও স্মার্ট। একজন দক্ষ মানুষ। তাকে ছোট থেকে দেখছি। তার এমন খবরে আমি নিজেও মর্মাহত। গত একমাস আগেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সে বলেছিল- স্টাফ আমি আসতেছি, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। এটাই ছিলো তার সঙ্গে শেষ কথা। তার শিক্ষা জীবন ভালো ছিল। পাবনা ক্যাডেট কলেজের আগে রাজশাহী গভ. ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে।

ফ্লাইট লেফটেনেন্ট তৌকিরের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের কানসার্ট ও রাজশাহীর বাড়িতে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *