বেইজিং বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই তৎপরতা অবৈধ এবং চীনের সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলছে, এটা রুটিন অপারেশন এবং আন্তর্জাতিক জলসীমা আইন মেনেই তা করা হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের যে বিতর্কিত অঞ্চলটিকে চীন তাদের সমুদ্র সীমা বলে দাবি করছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগে থেকেই কিছু জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লাসেন চীনের তৈরি কৃৃত্রিম দ্বীপটির ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে ঢুকে পড়ে।
চীনের কড়া হুমকি
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র দফর বলছে, এটি চীনের সার্বভৌমত্ব লংঘনের সামিল। চীনের সরকারি গণমাধ্যমে এই ঘটনাকে এক নগ্ন উস্কানি বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। চীনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র লু কাং অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটন ইচ্ছে করেই দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, যে কোন দেশের ইচ্ছাকৃত উস্কানির বিরুদ্ধে চীন শক্ত ব্যবস্থা নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নিয়েছে জাপান
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যা দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমা হিসেবে সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল, কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সেটিকে নিজের বলে দাবি করা যায় না। ওয়াশিংটন পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েঠে যে, তারা ভবিষ্যতেও ঐ অঞ্চলে তাদের ভাষায় এরকম স্বাধীন সমুদ্রচলাচল অভিযান পরিচালনা করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপানও একই ধরণের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, তারা এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছে।