গাজীপুর: রবিবার বহি:স্কৃত টঙ্গী পূর্ব থানা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সাথীকে(৪৫) র্যাব আটক করে থানায় দিয়েছে। পুলিশ বিস্ফারক মামলায় আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। এই গ্রেপ্তার নিয়ে টঙ্গীতে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় পুলিশ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাথে সাথে আসামীকে আদালতে পাঠায়।
আজ মঙ্গলবার(৮ জুলাই) বিকেলে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ তাকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে পাঠায়। এর আগে দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল এলাকা থেকে র্যাবের পূর্বাচল ক্যাম্প তাকে আটক করে।
সিরাজুল ইসলাম সাথী আরিচপুর এলাকার গাজীবাড়ি পুকুর পাড়ের আরিফুল ইসলামের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে টঙ্গী পূর্ব থানা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব। রবিবার কেন্দ্রীয় বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে বহিষ্কার করা ৪ নেতার একজন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের হারবাইদ এলাকার ছাত্রদল নেতা রাজিবের বাড়ি থেকে র্যাবের ঢাকার পূর্বাচল ক্যাম্প তাকে আটক করে নিয়ে যায়। রবিবার (৬ জুলাই) কেন্দ্রীয় বিএনপি টঙ্গীর তিন নেতা সহ গাজীপুর মহানগর বিএনপির ৪ নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ বহি:স্কার করে। বহি:স্কৃত বিএনপি নেতারা হলেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য এ্যাডভোকেট জিয়াউল হাসান উরফে জিএস স্বপন, গাজীপুর মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম মোল্লা ও টঙ্গী পূর্ব থানা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সাথী। বহি:স্কৃতদের মধ্যে রবিবার গ্রেপ্তার হন অ্যাডভোকেট জিয়াউল হাসান স্বপন। এরপর আটক হলেন সিরাজুল ইসলাম সাথী।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, আসামীকে স্যাটান গার্মেন্টে ঝুট ব্যবসা নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। র্যাব আসামী নিয়ে আসার পর সাথে সাথে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে এই গ্রেপ্তার নিয়ে টঙ্গীতে বিএনপি ও অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের দাবী, গ্রেপ্তার সাথী রাজপথের নেতা। তিনি স্যাটান গার্মেন্টসে কোন সময় যাননি। তার বিরুদ্ধে নিজ দলের ভেতর থেকেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তারা সাথীর নি:শর্ত মুক্তির দাবী করেন।

