ঢাকা: ঢাকার গাবতলীতে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম মোল্লা হত্যার ঘটনায় এক ছাত্রশিবির নেতা জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় পলাতক এনামুল হক ওরফে কামাল একজন সাবেক শিবির নেতা। কামাল বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি।
এর আগে কামালের বন্ধু মাসুদ রানাকে আটকের পর রিমান্ডে নিলে এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন তিনি।
পুলিশের আরেকটি সূত্র জানায়, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে কামাল বাসে করে বগুড়া থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর গাবতলী এলে পুলিশি তল্লাশির সম্মুখীন হন কামাল ও মাসুদ। তল্লাশি ঠেকাতে তারা এএসআই ইব্রাহিম মোল্লাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করেন। এসময় কামাল পালাতে পারলেও মাসুদ আটক হন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, পলাতক কামালের ব্যাগে গ্রেনেড ছিল।
পলাতক কামাল বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের একজন শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে বগুড়ায় নাশকতামূলক মামলা রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, মাসুদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে দু’টি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করেছে। উদ্ধার করা গ্রেনেডগুলোর সঙ্গে হোসেনী দালানে পাওয়া গ্রেনেডের মিল আছে।
গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর গাবতলী চেকপোস্টে তল্লাশির সময় দুই যুবকের ছুরিঘাতে এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা আহত হন। এরপর তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।