সমানভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিল ইসরায়েল ও ইরান : ট্রাম্প

Slider সারাবিশ্ব

ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে পোস্ট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া পোস্টে তিনি ইরান ও ইসরায়ল যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সমানভাবে চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছেন।

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘ইসরায়েল ও ইরান দুই পক্ষই সমানভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়েছিল! সব পারমাণবিক স্থাপনা ও সক্ষমতা ধ্বংস এবং তারপর যুদ্ধ বন্ধ করাটা ছিল আমার জন্য মহা সম্মানের!’’

এর আগে, ঘোষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি উভয় দেশই লঙ্ঘন করায় তীব্র সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে অংশ নিতে ইউরোপ সফরের আগে মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসরায়েলের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েল ও ইরান উভয়েই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে—এটি তাকে হতাশ করেছে। পরে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পরও ইরানে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে টেলিফোন করে কঠোর বার্তা দেন তিনি।

হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র সিএনএনকে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। সাধারণত তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ভাষায় কথা বলেন না। আমরা জানতে পেরেছি যে ফোনকলের পর পরিস্থিতির গুরুত্ব এবং প্রেসিডেন্টের উদ্বেগের ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তাতেও ট্রাম্প বলেন, ‘‘ইসরায়েল, বোমা ফেলা একদম বন্ধ করুন। যদি আপনারা এটা বন্ধ না করেন, তাহলে তা হবে যুদ্ধবিরতির গুরুতর লঙ্ঘন। এখনই, এই মুহূর্তে নিজেদের পাইলটদের ফিরিয়ে আনুন।’’

গত শনিবার ইরানের পরমাণু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তিনটি স্থাপনায় বোমবর্ষণ করে মার্কিন বিমান বাহিনী। পরের দিন সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে মোট ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের সঙ্গে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন ট্রাম্প।

সূত্র: বিবিসি, সিএনএন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *