৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত। রাত দুটোয় সর্বশেষ খবরে আল জাজিরা জানায়, এই ভূমিকম্পে ৩৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানে ২৫৩ ও আফগানিস্তানে ৮২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে হাজারখানেক লোক। তবে ভারতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক শ’ ঘরবাড়ি। এক মিনিট স্থায়ী এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণীতে, ভূপৃষ্ঠের ২১২ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। সোমবার আফগানিস্তান সময় দুপুর তিনটা ৯ মিনিট নাগাদ এটি আঘাত হানে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, এএফপি ও আলজাজিরা অনলাইনের।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইন, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আফগান নেতা আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানে। দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ এবং পেশোয়ারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করাচী, লাহোর, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, এ্যাবোটাবাদ, কোয়েটা, মালাকান্দ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং কোহাট শহরও। এসব শহরের অনেক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। ভূমিকম্পে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী, কাশ্মীর এবং অন্যান্য এলাকায়ও ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। এর আগের খবরে মৃতের মধ্যে পাকিস্তানে ১০৬ এবং আফগানিস্তানে ২৪ জন রয়েছে। আফগানিস্তানের এই ২৪ জনের মধ্যে ১২ জন স্কুলশিক্ষার্থী। এই ঘটনায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিস্তৃত এলাকার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পেতে দেরি হচ্ছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, ৩টা ৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের জারম থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের ২১২ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। ওই এলাকার কাছেই পাকিস্তান ও তাজাখস্তানের সীমান্ত।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতরের প্রাদেশিক প্রধান আবদুল রাজ্জাক জিনদার জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের মধ্যে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তালোকান শহরের একটি স্কুল থেকে হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১২ ছাত্রী মারা গেছে। ভূমিকম্পে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ভয়ানকভাবে কেঁপে উঠলেও সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। ঝাঁকুনিতে ভারতের বিভিন্ন শহরেও মানুষ আতঙ্কে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
খবরে বলা হয়েছে, প্রথম আঘাত হানার ৪০ মিনিট পর দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্প হয়। তারপর আরও দীর্ঘ সময় একই ঘটনা ঘটতে থাকে। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ খবর শোনামাত্র দেশটির প্রাদেশিক, বেসামরিক এবং সেনাবাহিনীকে দ্রুত উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দেন। নাগরিকদের নিরাপদে রাখার জন্য সবাইকে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইন হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী একটানা কয়েক মিনিট ধরে কাঁপতে থাকে। এ সময় অনেক লোক রাজপথে নেমে আসেন।
ভূমিকম্পের বিষয়ে করিমাবাদ শহরের বাসিন্দা আনাস বলেন, ভূমিকম্পের ফলে ভূমিধস সৃষ্টি হয়ে হুনজা নদীতে গিয়ে পড়েছে।
আমার মনে হলো কেউ বুঝি আমাদের ধরে ঝাঁকি দিচ্ছে। এরপর দেখলাম ধস নামছে। আমাদের চোখের সামনে আস্ত একটা পাহাড় যেন নেমে এলো।
কম্পনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারবার্তায় বলেন, ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তানে বড় ভূমিকম্পের কথা শুনেছি। ভারতেও এর প্রভাব পড়েছে। প্রার্থনা করি সকলেই সুরক্ষিত আছেন। কোথায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানসহ যেখানে সাহায্যের প্রয়োজন তার জন্যও প্রস্তুত আমরা।’ এদিন দিল্লীতে কম্পন অনুভূত হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘরবাড়ি-অফিস ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন লোকজন। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় মেট্রোরেল। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল দিল্লীবাসীদের উদ্দেশে টুইট করেন, ‘আতঙ্কিত হবেন না। বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।’ নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রায় ছয় মাস পর আফগানিস্তানে এ ভূমিকম্প হলো। নেপালে এপ্রিলের ওই ভূমিকম্প এবং তৎপরবর্তী কম্পনে ৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
কোন বাংলাদেশী হতাহত হয়নি ॥ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের ভূমিকম্পে কোন বাংলাদেশী হতাহত হয়নি।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক ॥ বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সোমবার পৃথক পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইন, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আফগান নেতা আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানে। দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ এবং পেশোয়ারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করাচী, লাহোর, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, এ্যাবোটাবাদ, কোয়েটা, মালাকান্দ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং কোহাট শহরও। এসব শহরের অনেক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। ভূমিকম্পে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী, কাশ্মীর এবং অন্যান্য এলাকায়ও ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। এর আগের খবরে মৃতের মধ্যে পাকিস্তানে ১০৬ এবং আফগানিস্তানে ২৪ জন রয়েছে। আফগানিস্তানের এই ২৪ জনের মধ্যে ১২ জন স্কুলশিক্ষার্থী। এই ঘটনায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিস্তৃত এলাকার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পেতে দেরি হচ্ছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, ৩টা ৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের জারম থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের ২১২ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। ওই এলাকার কাছেই পাকিস্তান ও তাজাখস্তানের সীমান্ত।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতরের প্রাদেশিক প্রধান আবদুল রাজ্জাক জিনদার জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের মধ্যে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তালোকান শহরের একটি স্কুল থেকে হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১২ ছাত্রী মারা গেছে। ভূমিকম্পে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ভয়ানকভাবে কেঁপে উঠলেও সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। ঝাঁকুনিতে ভারতের বিভিন্ন শহরেও মানুষ আতঙ্কে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
খবরে বলা হয়েছে, প্রথম আঘাত হানার ৪০ মিনিট পর দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্প হয়। তারপর আরও দীর্ঘ সময় একই ঘটনা ঘটতে থাকে। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ খবর শোনামাত্র দেশটির প্রাদেশিক, বেসামরিক এবং সেনাবাহিনীকে দ্রুত উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দেন। নাগরিকদের নিরাপদে রাখার জন্য সবাইকে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইন হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী একটানা কয়েক মিনিট ধরে কাঁপতে থাকে। এ সময় অনেক লোক রাজপথে নেমে আসেন।
ভূমিকম্পের বিষয়ে করিমাবাদ শহরের বাসিন্দা আনাস বলেন, ভূমিকম্পের ফলে ভূমিধস সৃষ্টি হয়ে হুনজা নদীতে গিয়ে পড়েছে।
আমার মনে হলো কেউ বুঝি আমাদের ধরে ঝাঁকি দিচ্ছে। এরপর দেখলাম ধস নামছে। আমাদের চোখের সামনে আস্ত একটা পাহাড় যেন নেমে এলো।
কম্পনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারবার্তায় বলেন, ‘আফগানিস্তান-পাকিস্তানে বড় ভূমিকম্পের কথা শুনেছি। ভারতেও এর প্রভাব পড়েছে। প্রার্থনা করি সকলেই সুরক্ষিত আছেন। কোথায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানসহ যেখানে সাহায্যের প্রয়োজন তার জন্যও প্রস্তুত আমরা।’ এদিন দিল্লীতে কম্পন অনুভূত হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘরবাড়ি-অফিস ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন লোকজন। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় মেট্রোরেল। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল দিল্লীবাসীদের উদ্দেশে টুইট করেন, ‘আতঙ্কিত হবেন না। বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।’ নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রায় ছয় মাস পর আফগানিস্তানে এ ভূমিকম্প হলো। নেপালে এপ্রিলের ওই ভূমিকম্প এবং তৎপরবর্তী কম্পনে ৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
কোন বাংলাদেশী হতাহত হয়নি ॥ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের ভূমিকম্পে কোন বাংলাদেশী হতাহত হয়নি।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক ॥ বাসস জানায়, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সোমবার পৃথক পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।