অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যর তৈরি করা মড়ার সুনাম ছড়িয়েছে বিদেশেও। উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের মধ্য শিহিপাশা গ্রামের দলিল উদ্দিন সরদারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আ. মান্নান সরদার জানান, তিনি ১৯৯৮ সালে খাগড়াছড়িতে চাকুরীকালীন স্থানীয় চাকমাদের কাছ থেকে সুদৃশ্য এই মড়া তৈরী করতে শেখেন। ২০০৩ সালে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পর বাড়িতে এসে সেই মড়া তৈরীর কাজ শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, একটি মড়া তৈরি করতে প্রথমত পাকা তল্লা বাঁশ কেটে পানিতে কয়েক মাস ভিজিয়ে রাখতে হয়। পরে বাঁশ থেকে শলা তৈরী করে আগুনে স্যাঁকা দিয়ে তেল মেখে রোদে শুকাতে হয়। শুকনো ওই শলা দিয়ে মড়া তৈরির জন্য লোহার তিনটি রিং ও বাঁশের চারটি চাক দরকার হয়। রিং ও চাক বসিয়ে তার বাইরে বাঁশের শলা দিয়ে তার উপর নাইলন সুতা ও প্লাস্টিক ক্যান দিয়ে মড়া তৈরী করা হয়। একটি মড়া তৈরী করতে ১২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। এটা দেখতে সৃদৃশ্য ও দীর্ঘস্থায়ী। এক একটি মড়ার স্থায়িত্ব প্রায় ৩০ বছর। একটি মড়া তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ১৪শ’ টাকা। তিনি বাড়ি বসেই তার নির্মিত মড়া প্রতিটি ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। তার নির্মিত সুদৃশ্য মড়া এলাকার তাদের বিদেশে থাকা আত্মীয়স্বজনকে উপহার পাঠাচ্ছেন।
অপূর্ব লাল সরকার