অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বিদেশী নাগরিকদের হত্যার পর তাদের নিরাপত্তাহীনতার পাশপাশি এবার স্বয়ং আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ২৬ অক্টোবর সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ’র সভাপতিত্বে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, উপজেলার পরিষদের মাস্টার রোল কর্মচারী রফিক হাওলাদার আমার স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছিলাম। ওই মামলায় জেল থেকে জামিনে এসে রফিক পুনরায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিসে কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায়ও মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। তার কারণে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কারণ হিসেবে তিনি আরও বলেন, তার বাসা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস পাশাপাশি। তাই যেকোন সময় রফিক নাশকতা চালাতে পারে। আমার জীবনের কোন ক্ষতি হলে সেজন্য রফিকই দায়ী থাকবে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চত্বরের অভ্যন্তরে কোন ঘটনা ঘটলে তার জন্য রফিক, অপর কর্মচারী হৃদয় মালাকার ও তাদের ইন্ধনদাতারা দায়ী থাকবে। ওই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান জসীম সরদার, মলিনা রানী রায়, ওসি মো. মনিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. সেলিম মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস তালুকদার, আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি, আবুল হোসেন লাল্টু, গোলাম মোস্তফা সরদার, বিপুল দাস, শিক্ষক নির্মলেন্দু বাড়ৈ প্রমুখ।