চন্দ্রায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, চলছে ধীর গতিতে

Slider সারাদেশ

অধিকাংশ শিল্প কারখানায় ঈদ ছুটি ঘোষণা করার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা দিয়েছে। কারখানার ছুটির পরিপ্রেক্ষিত্রে সকালের তুলনায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ বাড়তে থাকে চন্দ্রায়। এতে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। রাতে এ চাপ আরও বাড়বে পারে বলে ধারণা করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (৪ জুন) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রায় এ চিত্র দেখা যায়।

বিভিন্ন কারখানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ধাপে ধাপে শিল্পকারখানায় ছুটি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে নিবন্ধিত ২ হাজার ১৭৬টি কারখানার অধিকাংশ আজ ঈদ ছুটি পর্যায়ক্রমে ঘোষণা করায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে মহাসড়কে চাপ বাড়তে থাকে। বুধবার কাজের মজুরি তুলে অনেক কারখানা শ্রমিক, কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন রাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এতেই মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বর্তমানে চন্দ্রার আশপাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। তবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন যাত্রীদের অপেক্ষায় যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে রাখা, ভাড়া নিয়ে দরকষাকষি ও যাত্রী তুলতে যে সময়টা পাচ্ছেন তার তুলনায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ অতিরিক্ত থাকায় যানবাহনের এ দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে।

গাজীপুরের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ভাড়া থেকে একটি কারখানায় কাজ করেন আমিনুল হক। তিনি পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

আমিনুল ইসলাম জানান, ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি হয়, এমন শঙ্কা থেকে প্রতিবছরই পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতাম। কিন্তু সন্তানদের স্কুল খোলা থাকায় এবার পাঠাতে পারিনি। বুধবার কারখানায় হাজিরা তুলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। আগে থেকে তার বাসের টিকিট করা আছে তার।

হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (এআইজি) দেলোয়ার হোসেন মিঞা বলেছেন, যানজট নিরসনে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে মহাসড়কে ৪ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরাও কাজ করছে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *