সুন্দরবনে বেড়াতে যাওয়ার মৌওসুম শুরু হয়েছে, চলবে যা এপ্রিল পর্যন্ত জমজমাট আমেজে, যদিও সারাবছরই সেখানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সুন্দরবনে ভ্রমণ অন্যকোনো পর্যটনের চেয়ে ভিন্ন ও অনন্য। বনবিভাগের অনুমতিসাপেক্ষে এখানে ভ্রমণে যেতে হয় তাদের আদেশ-নিষেধ মেনে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল।
অভয়ারণ্য ব্যতীত সুন্দরবনে পর্যটকদের ভ্রমণ ফি ও অন্যান্য ফি হচ্ছেঃ প্রতিজন প্রতিদিন দেশি-৭০/-, বিদেশি-১০০০/- ১২ বছরের নিচে শিশু-১৫/-, করমজল/ সমমান (কলাগাছিয়া)– দেশি-২০/-, বিদেশি-৩০০/- ১২ বছরের নিচের শিশু (দেশি) – ১০/-, ছাত্র/ছাত্রী-দেশি-২০/-, গবেষক-দেশি-২০/-বিদেশি-৫০০/-, লঞ্চ ক্রু-৭০/-,গাইড-৫০০/-, নিরাপত্তা গার্ড-৩০০/- ভিডিও ক্যামেরা দেশি পর্যটক-২০০/-, বিদেশি-৩০০/-ও তথ্য কেন্দ্রে প্রবেশ ফি-১০/-। অভয়ারণ্য এলাকা-প্রতিজন-প্রতিদিন দেশি-১৫০/-, দেশি ছাত্র/ছাত্রী-৩০/- বিদেশি -১৫০০/- ও ১২ বছরের নিচের শিশু ১০/-। সুন্দরবন ভ্রমণে খুলনা ও বাগেরহাটে সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম দুটি বিভগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কমপক্ষে তিনদিন আগে অনুমতি নিতে হয়। যাদের টেলিফোন নং খুলনা-০৪১-৭২০৬৬৫ ও মোবাইল-০১৭১১৫৮১৪২৯ এবং বাগেরহাট-০৪৬৮-৬৩১৯৭ ও মোবাইল -০১৭১০৯৩৪৩৬৩। ভ্রমণ কর দিয়ে যে সব স্টেশন পশ্চিম বিভাগের খুলনা রেঞ্জের তালিমপুর, কাশিয়াবাদ, বানিয়াখালী, নলিয়ান, কালাবগী ও সুতারখালী এবং সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী, কদমতলা বুড়িগোয়ালিনী ও কোবাদক। পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী, চাঁদপাই, জিউধরা ও ধানসাগর এবং শরণখোলা রেঞ্জের শরণখোলা, বগী ও সুপতি। সুন্দরবনের ভেতরে অবস্থিত বিশ্রামাগারের প্রতিদিনের ভাড়া কটকা-প্রতি কক্ষ- পর্যটক দেশি ২০০০/- ও বিদেশি-৫০০০/-, সম্পূণর্ন-দেশি-৪০০০/- বিদেশি-১০,০০০/-, কচিখালী প্রতিকক্ষ-দেশি-৩০০০/- ও বিদেশি-৫০০০/-, সম্পূর্ণ-দেশি-১০,০০০/- ও বিদেশি-১৫০০০/- এবং নীলকমল (হিরণ পয়েন্ট)- প্রতিকক্ষ-দেশি-৩০০০/- ও বিদেশি-৫০০০/-, সম্পূর্ণ-দেশি-১২০০০/- ও বিদেশি-২০,০০০/। যানবাহন ফি যেমন হেলিকপ্টার, সিপ্লেন, লঞ্চ, ট্রলার, স্পিডবোট, জলী বোট (ট্যুরিস্টবোট) ইত্যাদি আকারভেদে বিভিন্ন হারের।