ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুন : সন্দেহের তালিকায় সিগারেট ও জেনারেটর

Slider বাংলার মুখোমুখি


গাজীপুরের শ্রীপুরে ময়মনসিংহগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনের পাওয়ার কারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে গতকাল ৩ এপ্রিল। এ ঘটনায় খুব বাজেভাবে ট্রেনের পাওয়ার কারটি পুড়ে যায়। এই আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আজ শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ওয়াশপিটে রাখা পুড়ে যাওয়া পাওয়ার কারটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন। এরপর আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত হতে না পারলেও জেনারেটর ওভারহিট হওয়া বা সিগারেটের আগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে নিজের সন্দেহের কথা জানান তিনি।

রেলওয়ের মহাপরিচালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাওয়ার কারে কী কারণে আগুন লেগেছে সেটা ধরা খুবই ডিফিকাল্ট। পাওয়ার কারটি যেভাবে পুড়ে গেছে আসলে কোনোভাবেই তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এটার দুইটি সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, জেনারেটর ওভারহিট হওয়া এবং অন্যটি হচ্ছে বাইরের কোনো মানুষ এসে সিগারেট খাওয়ার সময় আগুন ধরতে পারে। আমরা এখনও এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না।

আফজাল হোসেন বলেন, আমরা পাওয়ার কারটি ঘুরে দেখলাম। পাওয়ার কারের ভেতর থাকা দুইটি জেনারেটরই পুড়ে গেছে। পাওয়ার কারের ভেতর যেগুলো দাহ্য পদার্থ ছিল সবগুলোই পুড়ে গেছে। শুধু লোহার ফ্রেমটুকু অবশিষ্ট আছে। আমাদের মনে হয়েছে এটি ঠিক করার সুযোগ আছে। এটাকে আমরা চট্টগ্রাম পাঠাবো।

এতে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ঘটনায় একটি চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান রয়েছে ঢাকা বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে। তারা এটা নির্ধারণ করে জানাবেন।

এর আগে, গতকাল মহুয়া ট্রেনের পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেছিলেন, শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার আগেই ট্রেনের জেনারেটর কোচে আগুন দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার শুরু করেন যাত্রীরা। এরপর ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের নামতে সুযোগ করে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। ততক্ষণে জেনারেটর কোচ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *