গাজীপুরের শ্রীপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ফালান মিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ময়মনসিংহের ভালুকার কয়সেরকুল গ্রামের বাসিন্দা ও হত্যার মূলহোতা আবুল কাশেম সাগর, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের জোনকাই (আলালপুর) গ্রামের মো. শাহীন, ময়মনসিংহ সদরের সোনাখালী এলাকার আরিফ হোসেন ও বনপাড়া এলাকার শুক্কুর আলী। তারা শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড (দারগাচালা) এলাকায় পৃথক বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্রীপুরের বেলতলী জোড়পুকুর এলাকায় একটি শালবন থেকে ফালান মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় ফালান মিয়ার স্ত্রী রিনা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুর পিবিআইর এসআই সনজিৎ বিশ্বাস জানান, সাগর, শাহিন, আরিফ এবং তাদের সহযোগী নাঈম ঘটনার দিন (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে মাওনা চৌরাস্তা থেকে ফালান মিয়ার অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে বারতোপায় যান। দুই দিন পর মঙ্গলবার দক্ষিণ বারতোপা এলাকার গজারি বন থেকে ফালান মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভাঙারি ব্যবসায়ী শুক্কুর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাগর, শাহীন ও আরিফকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই তারা চালককে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দেন। শুক্কুর আলী অটোরিকশা কেনার কথা স্বীকার করেছেন।