রাজধানীর কাঁচাবাজারে শীতের সবজি আসতে শুরু করলেও বাড়তি দামের কারণে এখনও তা সাধারণের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মহাখালী, গোপীবাগ, মুগদা ও যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মূলা দেখা গেছে।
আকারে তেমন বড় না হলেও দামের দিক দিয়ে কপি বেশ ‘ভারী’। অন্য সবজির দামও চড়া।
মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রতি কেজি শিম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নতুন সবজি দেখে খুশি হলেও দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে ক্রেতাদের। দুপুরে কারওয়ানবাজারে ফুলকপি কিনছিলেন রনি নামের একজন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সবজির মধ্যে শীতের সবজি খেতে ভালো। বাজারে আগাম এসেছে, কিনছি। তবে দাম অনেক বেশি।”
কারওয়ানবাজারে কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে বেশ কিছু শীতের সবজি বাজারে আসছে। মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ীরা এসব সবজি নিয়ে আসছেন। বাজারে নতুন আসায় দাম একটু বেশি।”
কিছু দিনের মধ্যে যমুনার ওপারের বা যশোর, কুষ্টিয়া এলাকার সবজি আসা শুরু করলে দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন তিনি।
রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ পাওয়া গেছে।
মরিচের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যায় কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী মান্নান বলেন, “বর্তমানে বাজারে যেসব কাঁচা মরিচ পাওয়া যাচ্ছে তার অধিকাংশই ভারত থেকে আমদানি করা। দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ অনেক কম। পূজার কারণে ভারত থেকে পণ্য আসতে একটু বেশি সময় লাগছে বলে দাম বেড়েছে।”
আগামী সপ্তাহ নাগাদ আবার দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মরিচের দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম।
এদিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৭০ টাকা।ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমায় দেশি পেঁয়াজেরও দাম কমেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ৎ বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান পাটওয়ারি টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পেঁয়াজের আমদানি মূল্য কমে যাওয়ায় দেশের বাজারেও দাম কমছে। এছাড়া নতুন পেঁয়াজের মৌসুম সামনে রেখে সম্প্রতি দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে। এতেও দাম কিছুটা কমছে।”
রাজধানীর বাজারগুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এসব আলু কমপক্ষে ২৪ টাকায় কিনতে হয়েছে।
এছাড়া বাজারে কেজি প্রতি বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিংগা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, চিচিংগা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেপে ৩০ টাকা, কচুরমুখী ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ও উচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে এবং লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কমেছে লাল শাকের দাম। বর্তমানে লাল শাক ও মুলা শাকের আটি ৫ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। পুঁই শাক প্রতি আটি ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।