রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি: বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বনভূমি দখলে নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আবার রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অনেক কোম্পানিও বড় অঙ্কের অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বনের জমি দখল করে নিয়েছে।
ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়িঘর তৈরি করে কয়েক হাজার ব্যক্তি দখল করেছে ১০ হাজার একরের বেশি বনভূমি। বনের জমি দখল হওয়ায় উজাড় হচ্ছে বন, ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ, হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণী ও কীটপতঙ্গ। বনভূমি উজাড় হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। অথচ এই আগ্রাসন ঠেকাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বন বিভাগের।
গাজীপুরের শ্রীপুরে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে করা পঞ্চাশ বছরের পুরনো রাম্তা কেটেফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সিংদিঘী গ্রামের নিরঞ্জন চালা এলাকায়।স্থানীয়দের অভিযোগ প্রভাবশাালী ব্যবসায়ী ওই গ্রামে ২০ থেকে ২৫ বিঘা জমি কিনে তাতে গড়েছেন। খামারের ভেতরে রয়েছে সরকারী অর্থায়নে নির্মিত রাস্তা। প্রায় পঞ্চাশ বছড়ের পুরনো রাস্তা অবৈধ ভাবে কেটে পরিবর্তন করা হচ্ছে রাস্তার গতি। এতে ভূগান্তিতে পরবে গ্রামের মানুষ। পুরনো রাস্তাটি খামারের গেইট থেকে ঘুরিয়ে বনের ভেতর ডুকিয়ে দিচ্ছে। রাস্তার অপরদিকে গভীর গজারী বন। বনের ভেতর ডুকিয়ে দেয়া রাস্তাটি কোথায় যাবে । রাস্তানির্মাণ করতে কাটা হচ্ছে পাশের গাছ। নতুন রাস্তা দিয়ে কে চলবে এমন প্রশ্নের উত্তর মেলেনি সংশ্লিষ্টদের কাছে। এদিকে ঠিকাদার দিয়ে রাস্তার মাটি কাটার সাথে সরকারী অর্থায়নে স্থাপন করা কালবার্ডের পাইপ তু্লে নিয়েছে ঠিকাদার।
স্থানীয় স্বপন সরকার অভিযোগ করে বলেন, ওই রাস্তার পাশে আমাদের পরিবার সহ অন্যদের জমি রয়েছে। খামার মালিক আ.আউয়াল স্থানীয় প্রভাশলীদের ম্যানেজ করে গ্রামের রস্তাটি কেটে ফেলছে। রাস্তাটি বন্ধকরতে তিনি অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। আমরা চেষ্টাকরে অবৈধ ভাবে রাস্তা কাটা বন্ধ করতে পারছিনা।
মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলমাছ মিয়া জানান, এটি বহু পুরনো রাস্তা। ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে মাটি কেটে রাস্তকটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে আংশিক ইটের সলিং করা হয়।
এক সপ্তাহ পূর্বে ওই খামারের সামনে সড়কের একটি অংশ ইটের সলিং করা হয়। রাস্তাটি সিংদিঘী ও হাঁসিখালী দুটি গ্রামকে সংযুক্ত করেছে। এ রাস্তা কাটার কোন সুযোগ নেই।
বক্তব্য জানতে খামারের মালবক আ.আউয়ালকে মোবাইলে ফোনকরলে তিনি রিসিভড করেননি। খামারের ব্যবস্থাপক শরিফ মোবাইৱ ফোনে রাস্তা কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি খোঁজনিয়ে আপনাদের সাথে সাক্ষাতে কথা বলবো।
শ্রীপুরের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.মুখলেছুর রহমান জানান, বনের ভেতর রাস্তা প্রবেশের সুযোগ নেই। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল জানান, বিষয়টি জেনেছি। রাস্তা কাটার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।