হাসিখুশি জীবন যাপনে ভালো বন্ধুদের অবদান অসামান্য। সুখে দুঃখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আগেই ছুটে আসে বন্ধু। তাদের সঙ্গে অনেক কথা আনমনেই বলা হয়ে যায়। অনেকের কাছে ভালো বন্ধুর সঙ্গে নিজের জীবনের সব কথা না বলতে পারা মানেই ছোট হয়ে থাকা। কিন্তু দাম্পত্যের শুরু যেখানে জীবনটাও সেখান থেকে একটু অন্যরকম হয়ে যায়। তখন কিছু ব্যাপারে বন্ধুদের সঙ্গে একটু বুঝে শুনে কথা বলাই ভালো। এমনকি খুব ভালো বন্ধুকেও কিছু কথা বলা থেকে বিরত থাকা বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন-
পারিবারিক খরচ
আপনার সংসার জীবনে কোন ক্ষেত্রে কতোটা খরচ হচ্ছে বা আপনার বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা কী ধরণের তা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বিস্তর আলাপ না করাই ভালো। বিশেষ করে আপনি অর্থনৈতিক তীব্র সংকটে পড়ে অপরের সাহায্য নিতে হলে কিছু কথা শেয়ার করতেই পারেন। তবে এমন পরিবেশ না হলে এসব বিষয় এড়িয়ে চলা ভালো। এছাড়াও বন্ধুদের কাছে সংসারের খরচ কে কত বহন করতে তাও বলার খুব একটা দরকার নেই। যদি আপনার বউ বেশি খরচ বহন করে তবে আপনি প্রকারন্তে বন্ধুদের কাছে ছোট হতে পারেন।
শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক
শ্বশুর বাড়িতে আপনার সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন বন্ধুদের সঙ্গে তা বলার প্রয়োজন নেই। মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে ভালো মন্দ দুই-ই আছে। তাই খারাপটা তুলে না ধরে কিছুটা প্রশংসার সঙ্গে ভালো বলা উত্তম। এতে আপনার সম্মান বাড়বে। খারাপ কিছু বললে শ্বশুর বাড়ির কানে গিয়ে অযথা ঝামেলাও হতে পারে। তাই নিরাপদ থাকায় ভালো।
সঙ্গীর চারিত্রিক বিষয়
আপনি নিজের সঙ্গী সম্পর্কে যা কিছু ভাবুন না কেন তা ভুলেও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বলতে যাবেন না। আপনার কথাগুলোর সুযোগ নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ আপনার ক্ষতি করতে পারে। হয়তো স্ত্রীর সামান্য ভুল আপনি শুধরে নিয়ে সুখের জীবন কাটাতে পারেন। তাই নিজে ভেবে সমাধান বের করার চেষ্টা করুন।
নিজেদের একান্ত বিষয়
অনেকেই বন্ধুদের সঙ্গে একান্তু গোপন বিষয়গুলো বলে মজা পান। বন্ধুদের সাথে মজা করেই হয়তো বলে দিলেন কিন্তু তারা আপনাকে নিচু মানসিকতারই ভাবছে। নিজের ও সঙ্গীর সম্মান বজায় রাখতে কখনোই এই কাজ গুলো করা ঠিক হবে না।