বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা উপলক্ষ্যে নেত্রীকে বিদায় জানাতে সড়কে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এতে গুলশান খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে বনানী মূল সড়ক পর্যন্ত এক মানবপ্রাচীর তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে নেতাকর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগান আর মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে পুরো গুলশান-বনানী এলাকা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গুলশান-বনানী এলাকায় সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে গুলশান থেকে বিমানবন্দরের দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পথে-পথে অবস্থান নিয়েছেন। তবে গুলশান থেকে নেতাকর্মীদের দাঁড়িয়ে অপেক্ষার সারি বনানী এলাকা ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার রাতেই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
কামরুল ইসলাম নামক বনানী থানা বিএনপির এক নেতা বলেন, আমি এইমাত্র বনানী থেকে এখানে এসেছি। পুরো রাস্তাজুড়েই নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অবস্থান নিয়েছে। গতকাল কেন্দ্র থেকেই আমাদের সড়কে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পুরো এলাকায় লাখ লাখ নেতাকর্মী সড়কে অবস্থান করছেন।
খারুইল ইসলাম নামক আরেক বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের গুলশান থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা নেত্রীর পাহারায় আছি। বের হয়ে বিমানবন্দর পৌঁছা পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো। আশা করি তিনি দ্রুতই চিকিৎসা শেষে আবার ফিরে আসবেন এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর সফরের মধ্যে দিয়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হতে যাচ্ছে তাদের।
চিকিৎসা প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে লন্ডন বিমানবন্দরে রিসিভ করতে আসবেন বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী এবং লন্ডন বিএনপির নেতারা। বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে সরাসরি লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালে নেওয়া হবে। সেখানে তার চিকিৎসা চলবে।