টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তিন মুসল্লি নিহতের মামলায় সাদপন্থী নেতা শফিউল্লাহ গ্রেপ্তার

Slider গ্রাম বাংলা


ছবি( গ্রেপ্তার শফিউল্লাহ)

গাজীপুর: ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তিন জন নিহতের মামলার ৮ নম্বর আসামী সাদপন্থী নেতা শফিউল্লাহ(৪৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার ডগরী তালুকদার বাড়ি গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি রাজধানী ঢাকার মুগদা বড় মসজিদের খতিব ও সাদপন্থীদের নেতা।
পুলিশ জানায়, শরীয়তপুর পালং থানার স্টেডিয়াম রোড এলাকা থেকে তাকে শনিবার রাত সোয়া ৯ টায় গ্রেপ্তার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক(এসআই) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার বাদী পক্ষ তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, শফিউল্লাহ আমাদের মামলার ৮ নম্বর আসামী। তাকে গ্রেপ্তার করে শরিয়তপুর থেকে টঙ্গী আনা হচ্ছে।

টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামী শফিল্লাহকে শরিয়তপুরে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাকে আমাদের টিম টঙ্গী নিয়ে আসছেন।

আগামী বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে। ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থিরা জোড় ইজতেমা করবেন ও জুবায়েরপন্থিরা করতে দিবে না বলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষনা দিয়েছিল। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর রাতেই ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা। নিহত হন তিন জন ও আহত হয় শতাধিক মুসল্লি। এই ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় জুবায়ের পন্থিদের পক্ষ থেকে সাদপন্থিদের ২৯জনকে শনাক্ত ও শত শত অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়। এই মামলার শনাক্ত ৫ নম্বর আসামী মুয়াজ বিন নূর ও ৬ নম্বর আসামী জিয়া বিন কাসেম গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এই নিয়ে এই মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার হলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *