ঢাকা: হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন মুহিব। হুমায়ূন আহমেদের ‘কৃষ্ণপক্ষ’র নায়ক। ছিলেন বইয়ের পাতায়, এবার চিত্রনায়ক রিয়াজের বেশে হাঁটা ধরেছেন সিনেমায়। ক্যামেরার সামনে তিনি রুটিন করে হাঁটছেন, হাসছেন, চা খাচ্ছেন, খুনসুঁটিতে মেতে আছেন। কালকেও ছিল শুটিং। মুহিব এলেন পাঁচটা নাগাদ। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। কিন্তু ঠোঁটের কোণায় লেগে আছে সেই চিরচেনা হাসি। বেলকোনিতে বসে চা খাচ্ছেন। এর ফাঁকে কস্টিউমটাও চেঞ্জ করে নিলেন। লাইট রেডি, রেডি ক্যামেরা। তার নায়িকা অরু সেজেগুজে বসে আছেন। ক্যামেরার সামনে দাড়ালেন মুহিব। সব চেক করে ডিরেক্টর ‘অ্যাকশন’ বললেন। চলছে অভিনয়। স্ক্রিপ্টে কথাগুলো জাদু মিশিয়ে উচ্চারণ করছেন মুহিব। হঠাৎ মুহিবের বুকে ব্যথা উঠে। ডিরেক্টর তো হতভম্ব। মুহিব বুকে ব্যথার অ্যাকটিং করছে কেন? এটা তো স্ক্রিপ্টে ছিলোনা!
মুহিবের ব্যথাটা আসলে অভিনয় নয়, বাস্তব। কয়েক সপ্তাহ ধরেই তার বুকের বামপাশটায় ব্যথাটা বাসা বেধেছে। মুহিব ঘামছেন। পাশের ফ্যানটা ফুল ভলিয়্যুমে চলছে। তবুও শার্টটা ভিজে এসেছে। সহশিল্পী ফেরদৌস, পরিচালক শাওন তাকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। একরত্তি কালক্ষেপণ না করে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলো। যাবার পথেও মুহিবের মুখে হাসি। নেই কোন কাতরতা। কি নির্ভার! ‘আমার কিছু হয়নি। আমাকে শুধু শুধু হাসপাতালে নিচ্ছেন কেন?’ প্রশ্ন রিয়াজের।