জাবি প্রতিনিধি
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
জাবি, সাভার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ঈদুল ফিতরের ছুটিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সবকটি আবাসিক হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। তারা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার ডেপুটি রেজিস্ট্রার(প্রশাসন-১) রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঈদুল ফিতরের ছুটি উপলক্ষে আগামী মঙ্গলবার থেকে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত ২৪ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ২২ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল বন্ধ থাকবে।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকুরিতে কর্মরত ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান তারা।
দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইসহাক আলী বলেন, ক্যাম্পাসে এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি যে হল ভেকেন্ট করতে হবে। সামনে বাংলাদেশ ব্যাংক পরীক্ষা। এখন আমরা কোথায় যাব? যারা ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবে না তারা কোথায় থাকবে?
ভিন্ন ধর্মাবলম্বী এক শিক্ষার্থী বলেন, কয়েকদিন আগে গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষে ১ মাস বাড়িতে থেকে আসলাম। ঈদে তো আমাদের বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তারপরও প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের কারণে হয়তো বা অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাড়ি যেতে হবে। তবে হল ভেকেন্ট করতে হলে ধর্মীয় ছুটিগুলোতে না করে গ্রীষ্মকালীন বা শীতকালীন ছুটিগুলোতে করলে সকলের জন্য সুবিধা হয়।
সরকার সজিব বলেন, সামনে পরীক্ষা আছে। প্রশাসন যদি অনেক দিন হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় তবে আমরা যারা চাকরির পরীক্ষার্থী তাদের জন্য সমস্যা হবে। এছাড়া যাদের বাড়ি অনেক দূরে তাদের জন্য বেশি সমস্যা হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি তন্ময় ধর বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আগামী পরশুদিন আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো।’
শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফরিদ আহমদ বলেন, আবাসিক হলগুলো মেরামতের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুর রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাজনিত কারণ এবং মেরামতের জন্য এবার ছুটিতে হলগুলো বন্ধ রাখা হবে।
এ ব্যাপারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বলেন, আবাসিক হলগুলোর সাথে যুক্ত শিক্ষকেরা কোন ঈদে ছুটি পান না। এছাড়া রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের জন্য কিছু দিন হল বন্ধ রাখা প্রয়োজন। তাই শিক্ষার্থীদের কিছুটা সমস্যা হলেও আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে।