শ্রীপুরে দু’পক্ষের অভিযোগে আটকে যায় বৃদ্ধার দাফন

Slider বাংলার মুখোমুখি


রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর কারন জানতে না পারায় থানায় অভিযোগ করেন নাতি। পাল্টা অীভযোগ করে নিহেতের মেয়ে। দু’পক্ষের অভিযোগে আটকে যায় বৃদ্ধার দাফন। দিন ভর স্থানীয়রা বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারেনি। ঘটনা ঘটে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়া পাড়া গ্রামে। অভিযোগকারী মাসুম ওই গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে। অভিযুক্তরা হলো ওই গ্রামের নজরুল ইসলাম,তানিয়া আক্তার,আছমান আলী, সেলিনা ও কদম আলী। নিহত জহুরা খাতুন(৬০) একই গ্রামের সমেদ আলীর স্ত্রী। অপরদিকে নিহতের মেয়ের অভিযুক্তরা হলো ওই গ্রামের মাসুম,আবুল কাশেম,সাদ্দাম,শহিদ ও আনোয়ারা । রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃদ্ধার লাশের দাফন হয়নি। পুলিশ ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চেষ্টা করছে।

অভিযোগে জানাযায়, গত বৃহসপতিবার দুপুরে নিহতের মেয়ের স্বামী নজরুল ইসলাম জহুরাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। শনিবার রাত একটার দিকে এম্বোলেন্সে করে জহুরার মরদেহ নিয়ে আসে। জহুরা কিভাবে মারাগেলো তা জানেনা স্বজনরা। জহুরার মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে অভিযুক্তরা বাড়ির লোকদের উপর মারপিটে উদ্ধত হয়। এতে আটকে যায় মৃতের দাফন কাফন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দাদীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মাসুম বাদী উক্ত পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।

নিহতের মেয়ে তানিয়া অভিযোগ করে বলেন, তার মা গত বৃহসপতিবার অসুস্থ্য হলে তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই। সেখানথেকে ঢাকাস্থ উত্তরার আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করি। এক পর্যায়ে শনিবার রাত বারোটার দিকে মায়ের মৃত্যু হয়। রাতে লাশ বাড়িতে নিয়ে গেলে অভিযুক্তরা লাশ দাফনে বাধা দেয়। আমি উক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেই।

সরেজমিনে জানাযায়, দু’পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। যার প্রেক্ষিতে থানায় ফাল্টাপাল্টি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি দিন ভর চেষ্টা করেও স্থানীয়রা সমাধান করতে পারেনি। সন্ধ্যায় এ রিপের্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ মিমাংসার চেষ্টা করছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *