স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের আট দিন পর থানায় মামলা

গ্রাম বাংলা

রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: ১৪ বছর বয়সী কিশোরী প্রবাসীর সাথে মুঠোফোনে প্রেম করে এক পর্যায়ে যুবক প্রবাস থেকে ফিরে প্রেমিকাকে গিফট দেওয়ার কথা বলে, প্রেমিকার বাড়ির পাশেই তার তিন বন্ধু- নিয়ে ধর্ষণ করে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এলাকায় বৈঠক। স্কুল ছাত্রীকে উপহার দেবার কথা বলে মোবাইলে ডেকে নেয় কথিত প্রেমিক সৈকত। পরে সৈকত তার তিন বন্ধুকে মোবাইলে ফোন করে আনে। বন্ধুরা এসে ছাত্রীকে বলে তোরা অবৈধ ভাবে কথা বলছিস। যেতে হলে টাকা দিতে হবে। এক পটর্যায়ে সৈকত ওই ছাত্রীকে বলে,“ওরা যা বলে তকাতে রাজি হয়ে যাও। এ কথা বলার পর সৈকতের বন্ধুরা মিলে টানা হেঁছারা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ধর্ষকরা চলে যায়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করলে শনিবার রাতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলো গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের হালুকাইদ গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের ছেলে সৈকত ও তার তিন বন্ধু।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক(এসআই) মো. কুদ্দুস জানান, ভিকটিকের বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘানাস্থলে তদন্ত করা হয়। অভিযুক্তরা পলতক থাকায় তাদের গ্রেফতার সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে।

ভিকটিমেরসাথে কথা বলে জানাযায়, সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী। কিছুদিন পূর্বে অভিযুক্ত সৈকত মোবাইল ফোনে তার সাথে কথাবলে । এক পর্যায়ে সৈকত তাকে প্রেমের প্রস্তাবদিয়ে সম্পর্ক গড়েতুলে। গত আট ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সৈকত ফোন করে ভিকটিমকে বাড়ির দক্ষিন পাশে যেতে বলে। প্রথমে সে যেতে রাজী হয়নি। সৈকত তাকে কিছু উপহারর দিতে চায় বলে অনুরোধ করে। সৈকতের কথায় ভিক্টিম বাড়ির দক্ষিন পাশের নির্জণ স্থানে যায়। সেখানে সৈকত দীর্ঘ সময় ভিকটিমের সাথে কথা বলে। তাকে কিছু চুড়ি,কানের দুল উপহার দেয়। কিছু সময় পর সৈকত ফোন করে তার তিন বন্ধুকে আনে।

অজ্ঞাত ওই যুবকরা এসে ভিকটিমের সাথে অশুভন আচরণ করে। এক পর্যায়ে তার সাথে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। এতে ভিকটিম রাজি হয়নি। সৈকত বলে বন্ধুরা যা বলে তাতে রাজি হও। না হলে আমাদের বিপদ হবে। পরে সৈকত ও তার দুই বন্ধু ভিকটিমের হাত,মুখ চেপে ধরে। অপর বন্ধু জোড় পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ভিকটিমের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় এক ব্যক্তি এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা দৌড়ে পালায়।

ভিকটিমের বাবা জানান, তিনি পেশায় অটোরিক্সা চালক। দিন ভর তিনি অটোরিক্সা নিয়ে বাহিরে থাকেন। ঘরে মেয়ে একা থাকে। ঘটনার দিন রাতে বাড়ি ফিরে এসব শুনতে পাই। অভিযুক্ত সৈকত তার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বন্ধুদের নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করেছে। পরদিন স্থানীয় ভাবে শালিশ করে বিষয়টি ধামাচপার চেষ্টা করা হয়। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা আমার মেয়ের মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য ৭০০০ টাকা দাবি করে টাকা না দিতে পারায় আসামিদের পক্ষ হয়ে আমাকে শাসায়। পুলিশ অভিযুক্ত আসামিকে না ধরে তাকে পালানোর সুযোগ করে দেয়। আমি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *