বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মানুষের ঢল, ফুলেল শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণ

Slider সারাদেশ


জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মানুষের ঢল নেমেছে। ফুলেল শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণ করছেন তারা। ভোর থেকেই বিভিন্ন সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে কবরস্থানে আসছেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামসরা মিলে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, লেখক, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। যাদের অধিকাংশকেই সমাহিত করা হয় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। তাদের স্মরণে সকাল থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা জানানোর পর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় বুদ্ধিজীবী কবরস্থান প্রাঙ্গণ।

এরপর শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুর করেন। কবরস্থানের ভেতর থেকে বাইরের বেশ কিছু জায়গা জুড়ে শ্রদ্ধা জহানাতে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়।

এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া পড়েন এবং অন্যদের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেন। অনেকেই কবরের পাশে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অনেক সাধারণ মানুষকেও শহীদদের কবরের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আবার অনেককে ফাতেহা পাঠ করে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করতে দেখা গেছে।

এর আগে, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি পরে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এসময় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *