সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, পশ্চিমাদের মানবাধিকার নয়, এ দেশে ইসলামি আদর্শের মানবাধিকার চর্চা করতে হবে। আমরা পশ্চিমাদের থেকে ধার করে মানবাধিকার নিয়ে আসিনি। আমাদের মানবাধিকারের শিক্ষা দিয়েছেন হজরত মুহাম্মদ (সা.), যিনি মক্কা বিজয়ের পর মানবিক বিবেচনায় সকল কাফেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে হিউম্যান রাইটস এইড বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ. এফ. এম আব্দুর রহমান, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. গোলাম রহমান ভূইয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ- সম্পাদক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭২-৭৫ আওয়ামী দুশাসনে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়। সে সময় আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করে মানুষের অধিকার হরণ করেছে। পরবর্তীতে ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা পুরো বাংলাদেশকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। গুমের শিকার পরিবারগুলো অনেকেই আজও তাদের প্রিয়জনের সন্ধান পায়নি। মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে জামায়াত ইসলামী, বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাদের বিচারিক হত্যা করেছে। ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যা করেছে। বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে।
তারা আরও বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনের নামে জাতির সাথে তামাশা করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম জানতে পারেনি কীভাবে ভোট দিতে হয়। ভোট মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছিল শেখ হাসিনা। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদ এই দুই নেতার বিরুদ্ধে কখনও কেউ এক টাকা দুর্নীতির অভিযোগ দাঁড় করাতে পারেনি। সেই নেতাদের সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায়ে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।