শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইদ্রিস মেম্বারের উপর গত ৭ আগস্ট বিএনপি নেতার নেতৃত্বে বাঁশবাড়ী বাজারে কাঠের বাটাম দিয়ে মাথায় আঘাত করে, গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠে। আহতে পর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও বাঁচতে পারেনি।
দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে শেষ বিশ্বাস ত্যাগ করেন। এঘটনায় ইদ্রিস মেম্বারের স্ত্রী বাদী হয়ে, পাঁচজনের নাম উল্লেখ্য করে শ্রীপুর মডেল থানা অভিযোগ দায়ের করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার দুইদিন পর বাজারে গিয়ে মারধরের শিকার হন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইদ্রিস আলী(৫০)। গত চার মাস বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে অবশেষে সোমবার ২ ডিসেম্বর রাত পৌনে চারটার দিকে ঢাকার বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে মারা জান তিনি।
নিহত ইদ্রিস আলী গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি তিনি গাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। এর আগে তিনি ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি বাজারে তিনি মারধরের শিকার হন।
অভিযুক্তরা হলো একই গ্রামের মো. আ.আউয়াল(৩৮)আরমান(৩৫)সেলিম(৩০)আবু হানিফা(৪২) ও আব্দুল আজিজ(৫৬) সহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন।
এবিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের ছোট ভাই মো.মোক্তার হোসেন বলেন,রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অনেকাটাই আতঙ্কে ছিলেন ইদ্রিস আলী। গত ৭ আগস্ট সকাল ১০ টার দিকে তিনি বাজার করতে স্থানীয় বাঁশবাড়ি বাজারে যান। অভিযুক্তরা আমার ভাইকে কেনো বাজারে গেছে জানতে চেয়ে রাস্তায় ফেলে সমিলের কাঠেরটুকরা দিয়ে বেধরক পেটায়। খবর পেয়ে আমারা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর পরে ঢাকার হাইকেয়ার হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করি। সবশেষ তিনি ঢাকার বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল তিনি মারা যান।
নিহতে মেয়ে বিলকিছ বলেন, ‘ঘটনার দিন বাজারে গিয়ে আমার বাবা হামলার শিকার হন। গত চার মাস বিভিন্ন হামপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছেন। সবশেষ গতকাল রাতে আমাদের ছেড়ে চলে যান। আমার বাবার কি অপরাধ ছিলো। ওরা কেনো আমার বাবাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন ইদ্রিস মেম্বার বাজারে আসে। হামলাকারীরা তাকে বাজারের নজরুলের চায়ের দোকানের সামনে রাস্তায় ফেলে স’মিলের কাঠের মাটাম দিয়ে বেধরক পেটায়। এতে তিনি মুমুর্ষ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যান। স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ওই সময় পুলিশের কার্যক্রম বলতে ছিল না। আমি এ থানায় পরে এসেছি। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাদের আইনী সহযোগিতার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।