ছবি( আটক কিরণ)
গাজীপুর: টঙ্গীর ৪৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও গাজীপুর সিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আাসাদুর রহমান কিরণ যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ভারাত যাওয়ার পথে বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন। ১ লাখ টাকায় চুক্তি করে তিনি ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১ টা ৫৪ মিনিটে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের ( বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এই সংবাদ নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, আসাদুর রহমান কিরণ ভারতে পালানোর সময় যশোরের শার্শা থানাধীন শিকারপুর সীমান্ত থেকে বিজিবি তাকে আটক করে।
যশোরে দায়িত্বরত বিজিবিরব ৪৯ ব্যাটালিয়ন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গাজীপুর মহানগরীর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৪৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এবং সাবেকপ্যানেল মেয়র আসাদুজ্জামান খান কিরনকে বিজিবি কর্তৃক আটক করা হয়েছে।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) গত ১৮ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ শিকারপুর বিওপি’র সীমান্ত দিয়ে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষিতে আনুমানিক রাত আনুমানিক রাত সাড়ে ১১ টায় বিজিবির শিকারপুর বিওপি’র টহল দল মেইনপিলার ২৮/১-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে বেতনা নামক স্থান হতে অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতেভারতে অনুপ্রবেশের সময় গাজীপুর মহানগরীর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৪৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ডকমিশনার এবং সাবেক প্যানেল মেয়র আসাদুজ্জামান খান কিরনকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্থানীয় মানব পাচারকারী নুর নবী, পিতা-অজ্ঞাত, গ্রাম-রামচন্দ্রপুর, পোস্ট-লক্ষনপুর, থানা- শার্শা, জেলা-যশোর এর মাধ্যমে ১ লাখ টাকা চুক্তির বিনিময়ে ভারতেযাওয়ার জন্য সীমান্ত এলাকায় আসে। এছাড়াও, আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে গাজীপুর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছেবলে জানা যায়।
আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের মাধ্যমে শার্শা থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড টঙ্গীর সাবেক কাউন্সিলর ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই বারের ভারপ্রাপ্ত মেয়র। তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি। ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে কিরণ কাউন্সিলর হন। সেই মেয়াদে নির্বাচিত মেয়র বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নানকে মিথ্যা মামলায় জেলে দিয়ে কিরণ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে বসেন। মেয়র মান্নান জামিন পেলেও চেয়ারে উঠবস করিয়ে একাধিকবার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে ২৭ মাস দায়িত্ব পালন করেন কিরণ। পরবর্তী সময় আওয়ানীলীগের জাহাঙ্গীর আলম মেয়র হলে ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরকে সরিয়ে আবার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে কিরণ মেয়রের চেয়ারে বসেন। দুই মেয়াদে প্রায় একটি পূর্ণ মেয়াদের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন কিরণ।
গাজীপুর মহানগরের মানুষ গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের টাকা ও ক্ষমতা খেকো হিসেবে কিরণকে চেনে। বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক কিরণের দেশে-বিদেশে একাধিক বাড়ি ও দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। টঙ্গী গাজীপুর ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় কিরণের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে।