১৬ ডিগ্রিতে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা

Slider রংপুর

পঞ্চগড়ে বাড়তে শুরু করেছে শীতের পরশ। পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে বাড়তে শুরু করছে শীতের অনুভব। ভোরের কুয়াশায় শুভ্র শিশির দোল খাচ্ছে ঘাসের ডগায়। আগের থেকে তাপমাত্রা নেমে বাড়ছে শীতের অনুভব।

রোববার (১৭ নভেম্বর) ভোর ৬টায় ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গতকাল শনিবার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হলেও তার আগের দিন শুক্রবার রেকর্ড হয়েছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে আবহাওয়ার তথ্যটি ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় ঘন কুয়াশা না থাকলেও শীতের মাত্রাটা বেড়েছে কিছুটা। দিনমজুর, পাথর ও চা শ্রমিক, ভ্যানচালক কাজে বেড়িয়েছেন সকাল সকাল। নবান্নের ধানে খেতে ছুটছেন কৃষকরা। ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঘরের কৃষাণীরাও।

সকালে ভ্যানচালক মহির উদ্দিন, রাজ্জাক ও চা শ্রমিক ইমান আলী বলেন, শীত পড়ে গেছে। কয়েকদিন থেকে শীত অনুভুত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে শীত লাগতে শুরু করে। গরম কাপড় বের করতে হয়েছে। রাতে কম্বল ও কাঁথা নিতে হচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের জেলা বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ) পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে।

এদিকে এখনো সেভাবে শীত না পড়ায় দিনে গরম ও রাতে হালকা শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শীত পড়ে গেছে। ভোর থেকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। রোববার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *