বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দুই ম্যাচ প্রীতি সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচ চলছে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে খেলায় সমতা এনেছে।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে সেট পিস থেকে গোল হজম করলেও এই ম্যাচে অন ফিল্ডেই গোল হজম করেছে স্বাগতিক দল। ম্যাচের ২৩ মিনিটে বাংলাদেশের সিনিয়র ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ফরোয়ার্ড পাস করতে ভুল করেন। তার বাড়ানো বল মালদ্বীপের মিডফিল্ডার ইব্রাহীম হোসেন পান। তিনি বক্সের মধ্যে থ্রু ঠেলেন আলী ফাসিরের উদ্দেশ্যে। দক্ষ ফরোয়ার্ড ফাসির বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল জালে পাঠান। আগুয়ান গোলরক্ষক মিতুল মারমা ছিলেন নীরব দর্শক।
ডিফেন্সের ভুলে গোল হজম করার একটা ধারাবাহিক ‘রীতি’ চলছে বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রে। গত ম্যাচে ১৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল করেছিল সফরকারী মালদ্বীপ। সেই ম্যাচে ডিফেন্ডাররা ঠিকঠাক মার্কিংই করতে পারেননি প্রতিপক্ষকে। বক্সে আনমার্কড থেকে গোল করেছিলেন আলী ফাসির।
গত ম্যাচে প্রথম একাদশে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছিলেন কানাডা প্রবাসী ফুটবলার কাজেম শাহ। অন্যদের চেয়ে তুলনামূলক ভালোই খেলেছিলেন তিনি। তার পরিবর্তে এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন মজিবুর রহমান জনি। ৪২ মিনিটে তিনিই বাংলাদেশকে সমতা এনে দেন। বক্সের বাইরে বল পেয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক পা থেকে আরেক পায়ে বল নেয়ায় ডিফেন্ডাররা বিভ্রান্ত হন। সেই মুহূর্তে কোনাকুনি শট নেন জনি। মালদ্বীপের গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েও রক্ষা করতে পারেননি।
বাংলাদেশ গোলের সুযোগ পেয়েছিল মিনিট চারেক আগেও। ৩৯ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে উইঙ্গার রাকিব বক্সে বল বাড়ান ফাহিমের উদ্দেশ্যে। ফাহিম জায়গায় দাঁড়িয়ে শট নেন। গোললাইন অতিক্রম করার মুহূর্তে গোলরক্ষক হাত লাগিয়ে সেভ করেন। ফিরতি বলে গোলের দারুণ সুযোগ মিস করেন শেখ মোরসালিন। ফ্রি অবস্থানে থেকেও বল মারেন পোস্টের উপর দিয়ে!